সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ড গোডাউন রোডের প্রবাসী রেজাউল করিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে

সীতাকুণ্ড গোডাউন রোডের প্রবাসী রেজাউল করিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ

করোনার কাছে শেষ পর্ষন্ত হেরে যেতে হয়েছে সীতাকুণ্ড গোডাউন রোডের প্রবাসী রেজাউল করিমকে।
সৌদি আরব প্রবাসী সীতাকুন্ড পৌরসভার মোঃ রেজাউল করিম। করোনার কাছে তাকেও আজ হার মানতে হলো। অসুস্থ অবস্থায় সৌদি আরবে ডাঃ সোলাইমান আল হাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ভোর ৪:৫৫ ঘটিকায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
রেজাউল করিম প্রবাসে থাকলেও তিনি সবসময় সীতাকুণ্ডকে নিয়ে তার এফবিতে সরব ছিলেন। রাজনীতিতেও তিনি একজন আলোচক ছিলেন
। সীতাকুণ্ডের ভালমন্দ মতামত প্রকাশ করতেন। বন্ধু বান্ধব, ছোট বড় সকলের সাথে ছিল তার ভাল সম্পর্ক। তার মৃত্যুতে সীতাকুণ্ড পেৌরসদরে নেমে এসেছে নিস্তব্দতা। সীতাকুণ্ড সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চলছে শোকের ছায়া।

ফেসবুকে যারা শোক জানিয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা ইয়াছমিন মনি এফবিতে এভাবেই লিখেছেন তার মনের আকুতি।

স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। অনেকক্ষণ কিছুই লিখতে পারছিলাম না।
সৌদি আরব প্রবাসী সীতাকুন্ড পৌরসভার মোঃ রেজাউল করিম ভাই এ মহামারীতে অকালে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। তিনি সীতাকুণ্ড থানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম ইব্রাহীম স্যারের ছেলে, বর্তমান পিটিএ কমিটির সদ্স্য দিলবাহার সুলতানা আপার স্বামী, অত্যন্ত মেধাবী ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আমার প্রাক্তন ছাত্র মাহীর বাবা। তাঁর মরহুম পিতার পদে আছি বলে তিনি প্রায় অনুপ্রেরণা দিতেন। এ মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান লিখেছেন

শোক সংবাদ

আমাদের সহপাঠী বন্ধু ( এসএসসি ১৯৮৩ – সীতাকুণ্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়) ও ইপসা’র শুভানুধ্যায়ী সৌদিয়া প্রবাসী রেজাউল করিম অসুস্থ অবস্থায় সৌদি আরবে ডাঃ সোলাইমান আল হাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৪ঠা জুন ২০২০ বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ভোর ৪:৫৫ ঘটিকায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।

আমরা এসএসসি ৮৩-র সকল সহপাঠী বন্ধু ও ইপসা পরিবার তার এ অকাল মৃত্যুতে শোকাহত ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।

সীতাকুণ্ড এভারগ্রীণ স্কুলের পরিচালক মোঃ ইমাম উদ্দীন লিখেছেন-

আমাদের খুব প্রিয় ভগ্নিপতি Rezaul Karem অসুস্থ অবস্থায় সৌদি আরবে ডাঃ সোলাইমান আল হাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ভোর ৪:৫৫ ঘটিকায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গত কয়েক সপ্তাহ আগে যেই মানুষ আমাদেরকে বারবার সৌদি থেকে ফোন করে এলাকার পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন, আজ তিনি নিজেই আমাদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন। মেনে নিতে পারছি না আল্লাহ। সদা হাস্যোজ্জ্বল আমার রেজাউল ভাই এর অপূর্ণতা কোনোদিন পূরণ হবে না।
মহান রাব্বুল আল আমিন যেন আমার রেজাউল ভাই কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।

বাড়বকুণ্ডের দিদারুল আলম লিখেছেন –

রেজাউল করিম সম্পর্কে আমাদের খালাত ভাই। আমাদের বাড়ী ওর খালার বাড়ী। অধিকাংশ সময় কাটতো আমাদের বাড়ীতেই এবং সবার সাথে ছিলো তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা। যেকোনো আচার অনুষ্ঠানে রেজাউল না থাকলে সে অনুষ্ঠান একেবারেই জমতোনা।সৌদি প্রবাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান। ওর এই অকাল মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত শোকাহত। তার নিজবাড়ী সীতাকুন্ডের এয়াকুব ণগর গ্রামের মরহুম ইব্রাহিম মাষ্টার সাহেবের ছেলে এবং মুক্তিযুদ্ধা শাহআলম সাহেবের ভাতিজা। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সদালাপী ও আনন্দপ্রবন ছিলো। আল্লাহ রেজাউলকে বেহেস্তের শ্রেষ্ঠতম স্থান নচিব করুন। তার স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের সবাইকে এই শোক সইবার শক্তি দিন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্কাউট কমিশনার,প্রধান শিক্ষক সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম ভঁুইয়া তার আইডিতে লুখেছেন-

#অাজ_থেকে_অার_দেখা_যাবে_না_Face_Book_এ #Rezaul_karem_কে
#শোক_সংবাদ:করোনায় #সৌদি_আরব_প্রবাসী #সীতাকুন্ড_পৌরসভার_মো_রেজাউল_করিমের ইন্তেকাল! 😢 ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সৌদি আরব প্রবাসী সীতাকুন্ড পৌরসভার মোঃ রেজাউল করিম ভাই। করোনার কাছে তাকেও আজ হার মানতে হলো। অসুস্থ অবস্থায় সৌদি আরবে ডাঃ সোলাইমান আল হাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ভোর ৪:৫৫ ঘটিকায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদেরছেড়ে চলে গেছেন।
😢😢 ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ বেহেস্তবাসী করুন।

মহান রাব্বুল আলামিন যেন ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন

শাহজাহান ছালেহ্ কমেন্টে লিখেছে

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
আমি তার মৃত্যু সংবাদে অত্যন্ত মর্মাহত হলাম। আজ একজন বড় আপনজনকে হারালাম। খুবই অমায়িক ও সৎলোক ছিলো আমার ভাগিনা রেজাউল করিম। যখনই ওর সাথে টেলিফোনে কথা হতো সমস্ত কুশলাদি জিজ্ঞেস করতো এবং শলা পরামর্শ করতো। বিশেষ করে ঊনার ছেলে মাহি এবং আমার ছেলে ফাতিন ক্লাশ মেট হওয়ার সুবাদে তাদের পড়ালেখার ব্যাপারেও অনেক আলাপ হতো। এখন তার শূন্যতা অনেক বেশি মিস করবো। হে মাবুদ, আমার ভাগিনা রেজাউল করিমকে ক্ষমা ও রহম করুন। ঊনাকে সম্মানিত মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। ঊনার গুণাহখাতা গুলোকে নেকিতে পরিণত করুন এবং তাঁর জীবনের নেক আমলসমূহ ও সদকায়ে জারিয়া কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন। আর মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা রহম করুন এবং এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুমা আমিন।

সাংবাদিক নাছির উদ্দীন অনিক লিখেছেন-

রেজাউল করিম সৌআরবে ডাঃ সোলাইমান আল হাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় আনুমানিক ভোর ৪:৫৫ ঘটিকায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।

তাঁর মৃত্যুর খবরটি শোনার পর চোখ ভিজে আসে। চটপটে, হাস্যজ্জল, প্রতিবাদী, মানবিক, বন্ধুবৎসল এক দেশ প্রেমিকের বিদায়, মানতে না পারার মাঝেও মেনে নিতে হচেছ- চিরাচরিত নিয়ম বলে। রেজাউল যখন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর বন্ধুমহলের প্রায় প্রত্যেকেই করোনা হতে মুক্তি কামনায় ফেইজবুকের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন। ভেবেছিলাম বেশিরভাগ লোক ভাল হচ্ছে তার মধ্যে তিনি বিদেশের হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা আছে বলে ভাল হয়ে যাবেন। কিন্তু না, আজ সকালে ফেইজবুক মারফত জানতে পারলাম তিনি পরলোকে, ইন্নালিল্লাহে ওয়া ই…… । যে ছিল (দেশে অবস্থানকালে) দেশের প্রতিটি প্রতিবাদী মিছিলে সরব সেই সরব মানুষটি করোনা নামক মৃত্যুর মিছিলে নীরবে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। মানবিক দেশ প্রেমিক রেজাউলের অসময়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিনা। রেজাউল ভাই নেই, ভাবতেই কেমন যেন গা.. ।

রেজাউল লেখাপড়ার দিক দিয়ে আমার এক বৎসরের সিনিয়র ছিলেন, সিনিয়র হলেও আপনি থেকে তুমি সম্বোধন করতাম কারণ হিসেবে বন্ধু সুজিতের খুবই ঘনিষ্টের সুত্র ধরে তার ইলেক্টিক দোকানে প্রায়ই ক্ষনিকের আড্ডা (ও বিদেশ থেকে এলে)

পৌরসভার এয়াকুব নগরে গ্রামের বাড়ি হলেও নুতুন বাড়ি করেছিলেন পৌরসদরে। মা-বাবার ২য় সন্তান ছিলেন রেজাউল। তাঁর বাবা মাওলানা ইব্রাহীম খলিল ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এবং তৎকালীন দাপুটে গ্রাম্য বিচারকদের মধ্যে অন্যতম। রেজাউল লেখাপড়া ইলেক্টিক সাবজেক্ট নিয়ে পলেটেকনিক্যাল কলেজ শেষ করে ভিক্টোরিয়া জুট মিলে চাকরি নেন এবং খুব কম সময়ে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের আস্থাভাজন হয়ে বনে যান শ্রমিক নেতা। এই শ্রমিক নেতা হয়ে যাওয়ার ফলে তৎকালীন বিএনপি‘র আমলে তিনি মামলায় জড়িয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভয়ে দেশ ছাড়তে অনেকটা বাধ্য হয়েছিল রেজাউল। (তাঁর দুটি ছেলে সন্তান প্রথমজন কলেজ ফাস্ট ইয়ার দ্বিতীয় জন অস্টম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত) সেই যে সৌদি পাড়ি দিয়েছিল সেই পাড়ি দেওয়া এবং জীবিকার তাগিদে জীবনযুদ্ধে অনেকটাই জয়ী হয়েছিল রেজাউল। সৌদিতে অবস্থানে অনেক সংগ্রামের পর তাঁর জীবনের সচ্ছলতা এনে দেয়।পৌরসদরে বন্ধু সুজিতদের বিক্রি করা জায়গায় (উত্তর বাজার ডিটি রোড সংলগ্ন) দুতলা এক ঘর করে দুই পুত্র সন্তান নিয়ে গত তিন বছর ধরে অনেকটা সুখেই ছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই সুখ বেশিদিন সইল না পরিবারে। করোনা নামক ভাইরাস কেড়ে নিল রেজাউলের প্রাণ ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না…।

অথচ এই করোনা ভাইরাস নিয়ে সে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইজবুকে) সচেতনতামুলক পোস্ট করেছে। বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে টেলি কনফারেন্স করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য বার বার সকলের দোয়াও চেয়েছে। অন্যের জন্য বার বার দোয়া চাওয়া ব্যক্তিটি করোনার সাথে যুদ্ধ করে আজ চলে গেলেন। এটাই নিয়তি, একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ফেইজবুকে তিনি শব্দ শ্রমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন।

ফেইজবুকে তাঁর শেষ পোস্ট ছিল গত ২২ মে, তাঁর গ্রামের বাড়ির একজনের মৃত্যু সংবাদ । তিনি যে দশের কথা দেশের কথা ভাবতেন তাঁর প্রমাণ মিলে পেইজবুক পোস্ট।

নিম্নে রেজাউলের টাইম লাইন থেকে নেয়া সাম্প্রতিক কয়েকটি পোস্ট দেয়া হল।

২০ মে*** আমার ছোট ছেলে মাহীর আজ শুভ জন্ম দিন, তাই পুষ্পিত শুভেচ্ছা অভিনন্দন বাবা, দূর প্রবাসে বসে করোনা সংক্রমণের কারণে পৃথিবীতে মৃত্যুর মিছিল চলছে আল্লাহ তোমাকে হেফাজত করে হায়াতে তাযেবা দান করুন এই দোয়া করি আমিন।

২২ মে ***একটি শোক সংবাদ সীতাকুণ্ড পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের উঃ এযাকুব নগর নিবাসী সীতাকুণ্ড এয়ার বাংলা ইন্টাঃ সর্তঅধিকারী জয়নাল আবেদীনের সহধর্মিণী কিছুক্ষণ আগে নাফেরার দেশে চলেযান ব্রেন টিউমার আক্রান্ত ছিল, আজ বাদ মাগরেব মরহুমার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হইবে।

১৯ মে ***সীতাকুণ্ড গতকাল COVID 19 (করোনা সংক্রমণে) 11 এগারজন সনাক্ত হয়েছে, কিন্তু পৌরসভা সদরের কলেজ রোডের ডি টি রোড এখন কার চিত্র দেখুন আমরা কেমন জাতি আর্মি পুলিশ উপজেলা প্রশাসন আসার পর এই অবস্থা, যখন প্রশাসনের লোকজন চলেযায় তখন কেমন অবস্থান হতে পারে চিন্তা করুন ।।

১৩ মে *** বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুরভাবের কারণে হোম কোয়ারেন্টিন জীবন-পার করছি কোটি কোটি মানুষ , এই ভাইরাজ থেকে বাঁচতে পারবো কি যানিনা পারলে ও এই সময়ের মানসিক ভাবে সুস্থ থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ ।

১৩ মে *** শিক্ষা উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর আম্মা চট্টগ্রামর সাবেক সিটি মেয়র মরহুম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিণী চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন ভাবী শরীরে করোনা + সংক্রান্ত , গত কাল ছোট ছেলে সনাক্ত হলে পরীক্ষায় একেই পরিবারে ,দুই জন গৃহকর্মী সহ চার জন COVID -19 আক্রান্ত সবাই দোয়া করবেন সুস্থতার জন্য।। একই সাথে আবুধাবী প্রবাসী এলাকার ভাই, লন্ডন প্রবাসী এক আত্মীয় ও দেশে বিদেশের অনেকের জন্য ফেইসবুক পেইজে দোয়া চেয়েছিলেন।

১০ মে *** মন্ত্রী মহোদয় কথায় না কাজে প্রমান দিন প্লিজ — বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থ উপার্জনের খাত প্রবাসীদের থেকে আসা রেমিটেন্স গত এক দশকে বিশ্বের যে কয়টি দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চয় হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম , ধারা বাহিকভাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বাংলাদেশের দেশের অর্থনীতি আকার বানিয়ে গতিময় হয়”আমি পরিসংখ্যান উল্লেখ করছি অনেকেই কাছে অজানা তাই গত বছর 2018/ 2019 অর্থ বছর আয় দাঁড়িয়ে ছিল 779 কোটি 41 লক্ষ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধির হার 22, 67 শতাংশ। গত অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল 9 শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব মতে ।গত নভেম্বর 155 কোটি 52 লক্ষ মার্কিন ডলার (1,55 বিলিয়ন ) রেমিটেন্স পাঠিয়েছে যার জন্য সরকার 2 শতাংশ হারে নগর প্রণোদনা দিছেন, এখন সময় এসেছে প্রবাসীদের অধিকারের পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া অনেক সমস্যার মধ্যে আছি আমরা আপদ কাল অতিক্রম করছি একটু বিবেচনায় নিন ।

৭ মে *** লক ডাউনের মধ্যেই কিছু সময় আড্ডা ছাত্র জীবনের সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় SSC1983ইং সালের বিদায়ী বিভিন্ন দেশে থাকা বন্ধুদের একসাথে নেট জগতের সুবাদে আমি রেজাউল করিম সৌদি আরব, আজম খাঁন চট্টগ্রাম, সাহাদাৎ হোসেন ঢাকা, মমিন মামা এবং রেজাউল করিম (টিটু) স্বপ্নের দেশ আমেরিকা আলিম উল্লাহ (রাহাত) লন্ডন থেকে মোহাম্মদ সোহরাব চট্টগ্রাম থেকে যুক্ত ছিলেন।

আমার দৃষ্টিতে আমি তাকে দেশে দেখেছি একজন সৎ সংগ্রামী শ্রমিক নেতার বেশে। সৌদিতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চাকরীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন শব্দ শ্রমিক। তিনি নিজস্ব সততার স্বকীয়তা ধরে রেখে দেশের জন্যে ভাবতেন, এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি বিচলিত হয়ে দুঃখ কষ্ট লাগবে জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন, এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে সরব ছিলেন। সর্বোপরি বড় ভালো একজন মানুষ ছিলেন রেজাউল। দুঃখ থেকে যাবে উনার প্রানহীন দেহখানাও হয়ত কেউ দেখবেনা, অনেক ভালো থাকবেন পরপারে রেজাউল ভাই এই দোয়া করি। আমরা আমৃত্যু বলে যাবো আপনি একজন বড় ভালো মানবিক,দেশ প্রেমিক মানুষ ছিলেন।