মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ,সীতাকুণ্ড টাইমসঃঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক ভ্যানচালক ফল বিক্রেতার মেধাবী মেয়ে ঢাবিতে চান্স পাওয়ার খবর সীতাকুণ্ডে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে কিছুদিন থেকে ভাইরাল হচ্ছে। তাহমিনার বাবা একজন ভ্যান চালক। খুব কষ্ট করে পড়া লেখা চালিয়ে আজ ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চান্স ফেল তাহমিনা। কিন্তু বাবার টাকা পয়সা না থাকায় ভর্তির ব্যাপারে অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছিল তাহমিনা। কিন্তু না সরাকারী বেসরাকারী অনেক মানবতার ফেরিওয়ালা তাহমিনার পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
সীতাকুণ্ডের মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া তাহামিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কামাল উদ্দিন। তাহামিনা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ ইদিল পুর গ্রামের ভ্যান গাড়ি করে ফল বিক্রেতা মিজানের মেয়ে। সে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। এখবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গতকাল সকাল বেলা তাহমিনা ও তার পরিবার ইউএনও ও ওসির কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় তাহমিনা ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানান তারা। ওসি তার কার্যালয়ে তাহমিনা ও তার পরিবারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করেন। এছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অনেক কষ্টকর। তাহামিনার এই সফলতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। সে যেন ঠিকমত পড়াশুনা করে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, সেই চিন্তা থেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছি।
এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অজস্র মেধাবীদের ভিড়ে উত্তীর্ণ হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। এটা সীতাকুণ্ডবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। তার অদম্য শক্তি ও মনোবল কখনো যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই তার পড়ালেখার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব।
এছাড়াও নাম না বলা শর্তে অনেক সরকারি কর্মকর্তা তাহমিনাকে অভিনন্দন ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, তাহামিনার বাবা একজন ভ্যানচালক ও ফল বিক্রেতা। তার শ্রবণ শক্তি অনেকটাই দুর্বল। যার কারণে ভ্যান চালিয়ে ফল বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। কোনভাবেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু তার স্বপ্ন ছেলেমেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবে। কিন্তু তার দরিদ্রতার কাছে এই শক্ত মনোবল অনেক সময় দুর্বল হয়ে যায়। সর্বদা উপর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস কোন না কোন একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে আমার ছেলে মেয়ের পড়া লেখার জন্য।
Home / প্রথম পাতা / ঢাবিতে চান্স পাওয়া সীতাকুণ্ডে ভ্যান চালকের মেয়ে তাহমিনার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও ও ওসি