সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকু-ে রাজা আম্বিয়া ঢালাই সড়ক দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বেসরকারী রড় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের প্রতিরোধের মুখে মালামাল ফেলে পালিয়ে যান তারা। গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে উপজেলার বাড়বকু- ইউনিয়নের আনোয়ারা জুট মিল গেট সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা দখলের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বেসরকারী রড় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে রাস্তায় দেওয়াল নির্মানের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি সীতাকু- থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করেন এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় উত্তেজিত এলাকাবাসীরা রাস্তার উপর নির্মাণ করা দেওয়াল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
রাজা আম্বিয়া ঢালা পাহাড়ী বাগান ও কৃষি উৎপাদন ফলজ বাগান মালিক সমিতি’র সভাপতি মো: জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া জানান, রাজা আম্বিয়া ঢালাই সড়ক এখানকার তিনটি এলাকার হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। স্থানীয় প্রায় হাজারো মানুষ তাদের জীবিকা অন্বেষনে নিকটস্থ পাহাড়ের ভূমিতে মৌসুমী শাকসবজি চাষাবাদের পাশপাশি ফলজ বাগানের চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি আনোয়ারা জুট মিলসটি কেএসআরএম (স্টীল মিল) খরিদের পর অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জনসাধরনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধের ফলে এলাকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যায়। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি জনসাধারনের চলাচলে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে উন্মুক্ত করা হয়। এতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে রাস্তা উন্মুক্ত রাখার আদেশ দিলেও গতকাল রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ আইন অমান্য করে পূনরায় রাস্তা দখলের চেষ্টা চালায়।
সীতাকু- থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন,চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত রাখতে আদালতের নির্দেশনার কাগজ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আমি কারখানায় যায়। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তা গ্রহন না করলে আমি পূনরায় ফিরে আসি।
বাড়বকু- ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজী বলেন,বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানটি অনৈতিকভাবে হাজারো মানুষের চলাচলের রাস্তাটি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পূর্বেও তারা এ রাস্তাটি দখলের চেষ্টাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীতাকু- থানা পুলিশের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করেছি। কিন্তু গতকাল আদালতের নির্দেশনাকে অমান্য করে রাতের আঁধারে পূণরায় দখলের চেষ্টা চালায়। স্থাণীয় এলাকাবাসীর খবর পেয়ে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশের বাঁধায় তা পন্ড হয়ে যায়। এতে কাজ ফেলে পালিয়ে যায় দখলদাররা।