সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / মা ইলিশ রক্ষায় বঙ্গোপসাগরে ৯অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরতে দিবেনা কোষ্টগার্ডের ১৪টি টিম

মা ইলিশ রক্ষায় বঙ্গোপসাগরে ৯অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরতে দিবেনা কোষ্টগার্ডের ১৪টি টিম

সীতাকুণ্ড টাইমসসাইফুল মাহমুদ,২৬সেপ্টেম্বর(সীতাকুণ্ড টাইমস)- সরকার কতৃক মা ইলিশ রক্ষায় মৎস অধিদপ্তর নির্দেশে আশ্বিনী পূর্ণিমার আগে পরে মোট ১৫ দিন বঙ্গোপসাগর এবং বেশ কিছু নদ- নদীতে মাছ ধরার উপর শুক্রবার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নিষেধাজ্ঞার কার্যকর করতে পূর্বাঞ্চলীয় কোষ্টগার্ডের ১৪টি টিম কাজ করছে ।
পূর্বাঞ্চলের কোষ্টগার্ড’র কর্মকর্তা কমান্ডার দুরুল হুদা বলেন,এখন থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোন ধরণের নৌ-যানকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। এ নিষেধাজ্ঞা কর্যকর করতে দেশের পূর্বাঞ্চালীয় কোষ্টগাডে১৪ টি টিম কাজ করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কোষ্টগার্ড সদস্যদের সাথে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ কোন ধরণের মাছ শিকার করছে এমন প্রমান পাওয়া গেলে মৎস্য অধিদপ্তরের আইন আনুযায়ি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, উল্লেখ করেন তিনি।সমুুদ্রিক মৎস অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: জহিরুল হক বলেন, চট্টগ্রাম পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে যাতে। সাগরে কোন নৌকা অথবা ট্রলার সাগরে যেতে না পারে
এ বিষয়ে নজর রাখছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা, অন্য দিকে সারা বাংলাদেশে এ বিষয়টি মনিটরিং করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে একটি টিম কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, বোট মালিক সমিতির সাথে আমরা কয়েকদফা বৈঠকে বসেছি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোন নৌকা অথবা বোট সাগরে প্রবেশ করবে না বলে আমাদের আশ্বাস্ত করেছেন মালিক কর্তৃপক্ষ। এই মুহুুর্তে বঙ্গোপসাগরে আমাদের জানা মতে মাছ ধরার কোন নৌকা অথবা বোট নেই। কোন বোট সাগরে মাছ শিকারে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার নগরীর ফিশারিঘাট এলাকায় দেখা যায় কয়েক’শ মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে। সারি সারি নৌকা ও ট্রলার নদীর তীরের ঘাটে বাধা। ছোট চায়ের দোকানে গল্পগুজব করে অলস সময় পার করছেন মৎস্যজীবিরা। কেউ কেউ ছেড়া জাল মেরামত করছেন।
ট্রলার মালিক সোহরাব হোসেন কলেন, আমার তিনটি বোট আছে । ১৯সেপ্টম্বরে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে কর্ণফুলী ফিশারি ঘাট বোটগুলো অবস্থান বসে আছে। সংকেত জারি হওয়ার তিন চার দিন আগে পটুয়াখালীতে মাছ শিকার করতে গিয়েছিলাম। সংকেত প্রত্যাহার শেষ হতেই মাছ ধরার রেড সিগনাল জারি করা হল। তাই আর সাগওে যেতে পারিনি, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সাগরে মাছ উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু আমরা না ধরলে মাছগুলো চলে যাবে ভারতের দিকে এ সময়ে ভারতীয় জেলেরা ব্যাপক মাছ শিকার করতে পারবে। অথচ ভারতে এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। বাংলাদেশের সীমানায় মাছ উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *