নাছির উদ্দীন শিবলু, সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
৩দিনে টানা বর্ষনে পানি নিস্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে সীতাকুন্ডের একাধিক বাড়ি-ঘর। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত স্থাপনে গড়ে উঠায় সর্বত্র দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এ পরিস্থিতে চরম দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে প্রতিটি জলাবদ্ধতার শিকার এলাকাবাসী।
বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে পানিতে ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি। ফসলি জমি এবং নালা নর্দমার না থাকায় বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ী জমে পানিতে থৈথৈ করছে রাস্তা ঘাট। এছাড়া শিল্প-কারখানার মালিকরা পানি নিস্কাশনের গতি পথ সংকুচিত করে পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ পরিবর্তনের ফলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রুপ নিয়েছে বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মো. আলা উদ্দিন বলেন, আমার এলাকায় কখনও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি জলাবদ্ধতার সাথে ডুবে যাচ্ছে বাড়ি-ঘর। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের পথে কবির স্টিল কোম্পানী মসজিদ গড়ে তোলায় সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতি। তাই এ অবস্থার উন্নতি না হলে খুব শিঘ্রয় জনগন মাঠে নামবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ক্রমাগত ভারী বর্ষনের ফলে নিন্মঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে মুরাদপুর,বাঁশবাড়ীয়া,বাড়বকুন্ড ও সৈয়দ পুরের কৃষকরা। বীজ বপন করে ফলন ঘরে উঠার আগে ফসল নষ্ট হয়ে পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা বলেন,‘ বীজ লাগানোর শেষ করে সবেমাত্র স্বাবজি গাছ বড় হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। এভাবে লাগাতার বৃষ্টি চলতে থাকলে ভিক্ষার ঝুড়ি কাঁেদ নেয়া ছাড়া উপায় নেই বলে জানান তারা। অথচ প্রতি বছর বৃষ্টিার সাথে ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও নেয়া হয় না স্থায়ী কোনো সমাধান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল আলম বলেন,‘ বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ হয়ে তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। তাই সরেজমিনে একাধিক স্থান পরিদর্শ করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কবির স্টিল যে জায়গাাটিতে পানির পথ পরিবর্তন করেছে তা পরিস্কার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ কোথাও প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে তাহলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান তারা।
এদিকে ভাটিয়ারী থেকে মামুন জানান ভাটিয়ারী কলেজ পাড়ায় শতশত পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।