সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ডে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই মোস্তফা কামাল চৌধুরী

সীতাকুণ্ডে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই মোস্তফা কামাল চৌধুরী

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
সীতাকুণ্ডে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই মোস্তফা কামাল চৌধুরী
তিনি এবার আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সীতাকুণ্ড আসনে নির্বাচন করতে চাই। তবে তিনি এবার কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্র্থী হবেন না এবার। তিনি আরও বলেন আমি আমার সীতাকুন্ডকে ভালবাসি,সীতাকুন্ড আনন্দ পেলে আমি আনন্দ পাই আবার আমার সীতাকুণ্ড কষ্ট পেলে আমি কষ্ট পাই।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, আকবর শাহ-পাহাড়তলী আংশিক) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত বক্তব্য দেন।
আজ বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা কামাল চৌধুরী আরও বলেন, আওয়ামীলীগের জন্মের সাথে আমার জন্মের ঠিক একই সময় তাই আমি একজন বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক, আমার রক্তের সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতি একাকার, সারাদেশের মধ্যে সীতাকুণ্ড একটি আলাদা উপজেলা, সীতাকুণ্ডে বহু সমস্যা রয়েছে, সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন নিয়ে সংসদে কথা বলার কেউ নেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে সীতাকুণ্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, আমি মনোনয়ন না পেলেও যেই নৌকা প্রতীক পাবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো, কারণ আগামী নির্বাচনে অবশ্যই নৌকা প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে এই মূহুর্তে দেশ পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা গাজি সেকান্দর, কৃষকলীগ নেতা রফিকুল আলম, সীতাকুণ্ড কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং রিয়াদ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ ইউসুফ।

মোস্তফা কামাল চৌধুরী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন
আমি নবম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় মাত্র ১৫বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য ভারতের হরিনা ক্যাম্পে ১৯৭১ সালের মে মাসে মাসব্যাপি ট্রেনিংয়ে অংশ নিই,আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।আমি ২০০১ সনে বাঁ ২০১৪ সনে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহি প্রার্থী ছিলামনা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম।আমি ১৯৯৩-১৯৯৬ পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলাম।দলীয় গঠন তন্ত্র মেনে ৩ বছরের মাথায় আমি পদত্যাগ করি।এরপর আমাকে আর সীতাকুণ্ডে আওয়ামীলীগে সদস্য পদেও রাখা হয় নাই কোথাও তাহলে আমি কিভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী হই?তাও আমি আজ অনুশোচিত সেই সময়ে নির্বাচনের জন্য।
আমি আসন্ন নির্বাচনে যদি মনোনয়ন পাব বলে মনে করি তাহলে ফরম কিনব এবং নমিনেশন চাইব।আমি এ পর্যন্ত কোথাও বলিনাই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি।মনোনয়ন পাবনা মনে হলে মনোনয়ন চাইবনা।নৌকা যার আমি তার হয়ে কাজ করব।আগামী নির্বাচনে আমি চাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসুক।আর সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সহযোগিতা করবেন কোন দলের স্বার্থে মনে না করে দেশের স্বার্থে মনে করবেন কারন বর্তমানে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *