মোহরম আলী সুজন,সীতকুণ্ড টাইমসঃ
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাটে কোরবানীর পশুর বাজার বেশ সরগরম। প্রতিদিনই উপজেলায় কয়েকটি বাজার বসছে। বড়দারোগারহাট, শেখেরহাট, মীরেরহাট, মুরাদপুর বাংলাবাজার, বাঁশবাড়ীয়া, কুমিরা,বাড়বকুণ্ড,ফকিরহাট,মন্তরহাট, মদন হাট, মাদামবিবিরহাট, ফৌজদারহাট ও ভাটিয়ারীতে গরুর হাট রয়েছে। এখানে প্রতিদিনই পশু বেচাকেনা হচ্ছে। কোরবানির দিন ঘনিয়ে আর মাত্র একদিন বাকী তাই উপজেলার প্রতিটি বাজারে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাথে সাথে ক্রয় ও বিক্রিও বাড়ছে বলে বাজার সূত্রে জানা গেছে। সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায় পুরো মাঠ জুড়ে রয়েছে গরু -ছাগল। হাট সূত্রে জানা যায়, ফেনী, রামগড় ও কুমিল্লার কিছু অঞ্চল থেকে সীতাকুণ্ডের হাট গুলোতে প্রচুর সংখ্যক গরু এসেছে। অন্যান্য বছর দেখা গেছে প্রথম প্রথম গরুর দাম লাখ কিংবা লাখের উপরে হাঁকালেও বিক্রি হয়েছে লাখের নিচে।কিন্তুু বর্তমানে কিছু হাটে পাঁচ লাখের ও বেশি দাম হাঁকানো হয় যা তিন থেকে চার লাখে বিক্রি হয়েছে। বড় দারোগাহাট বাজারে লালুর দাম হাকিয়েছেন ৫ লাখ টাকা।ক্রেতা সাধারন বলছেন,গরুর অনেক দাম।তবে বিক্রেতা বলেন খাদ্য দ্রব্যের দাম,লেবার খরচ অনেক,তাই গরুর দাম বেশী পড়েছে।ইজারাদাররা বলেন,গরু বাজারে হাসিল বাড়ানো হয়নি।প্রতি বছরের ন্যায় হাজারে ৫০/টাকা করে হাসিল আদায় করা হয়। বার আউলিয়া থেকে বাঁশবাড়িয়া পশুর হাটে গরু কিনতে এসে আজাদ মাস্টার জানান, আজ এই হাটে অনেক গরু উঠেছে ক্রেতা সমাগম ও অনেক বেশী।ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে প্রত্যাশার বাহিরে।দাম একটু বেশী হলেও পছন্দের চাহিদামাপিক পশু পাচ্ছে ক্রেতা সাধারন। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম জানান, প্রত্যেক বৈধ গরু বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিধান করা হয়েছে।