সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
সীতাকুণ্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নয় ডাকাতকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতকে মুমূর্ষবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এল.জিসহ বিভিন্ন দেশি তৈরী অস্ত্র। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের তিন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
সীতাকু- থানা সুত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৩টার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু-ের পূর্ব মুরাদপুর ফকিরহাট কে হোসেন ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বাগানের মধ্যে একদল ডাকাত অস্ত্রশস্ত্রসহ মহাসড়কের ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার খবর টহলরত পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে। টহলরত পুলিশের এসআই নাদিম মাহামুদ বিষয়টি থানার ওসিকে জানায়। রাত তিনটার সময় সীতাকু- মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান, ইন্সপেক্টর (তদন্তে) মোজাম্মেল হক ও এসআই নাদিম মাহামুদের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম পৃথক ভাবে ওখানে অভিযান শুরু করে।
আটককৃতরা ডাকাতরা হলো, আশ্রাফ উদ্দিন প্রকাশ তোতা(২২), মোঃ কামরুল হোসাইন(২০), মোঃ আনোয়ার হোসেন(২৫), রাজু ইসলাম প্রকাশ মনা(২০), শাহাদাত হোসেন প্রকাশ আরমান(২২), মোঃ সাগর হোসেন(১৮), সাইফুল ইসলাম(১৮), মোঃ রিপন(২০) ও নয়ন(২৫)। আটককৃতদের সকলের বাড়ি সীতাকু-ের বাড়বকু- ও মুরাদপুর এলাকায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে একটি দেশী তৈরী এলজি, ১০টি নীল রংয়ের কার্তুজ, কার্তুজের খোসা, ধারালো চাপাতি, ছুরি, কিরিচ ও লোহার রড। এসকল অস্ত্রগুলো ডাকাতরা মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পণ্য ও যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হতো।
সীতাকু- মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য ডাকাত দল প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় পুলিশ গোপন সংবাদে খবর পেয়ে দুই দিকে থেকে একযোগে অভিযান চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ এক ডাকাতসহ ৯ ডাকাতকে অস্ত্রসহ পুলিশ আটক করে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ডাকাতি হচ্ছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ডাকাতরা অবস্থান নিয়ে দুর পাল্লার যানবাহন, মাইক্রো, প্রাইভেটকার বিভিন্ন কৌশলে থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।