সংবাদ শিরোনাম
Home / পৌর সংবাদ / সীতাকুন্ড মডার্ণ হাসপাতালে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের দিনেই চার সন্তান হারিয়েছে মা’ কে

সীতাকুন্ড মডার্ণ হাসপাতালে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের দিনেই চার সন্তান হারিয়েছে মা’ কে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ৩১  মে (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-সীতাকুন্ড মডাণ হাসপাতালের ডাক্তার আফরোজা তালুকদার
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের দিনেই সীতাকুন্ডে একটি বেসরকারী হাসপাতালে সন্তান প্রসব করার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর এক রোগীর মারা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার রাতে ছালেহা বেগম পলি (৩৩) নামের এক রোগীর প্রসব ব্যাথা উঠলে  সীতাকুন্ড পৌরসদর আমিরাবাদের বাইপাস মোড়ে মডার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর পর ক্লিনিকের ডাক্তাররা রোগীর অভিভাবককে রোগীকে সিজার করাতে হবে বলে অনুমতি পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে অপারেশনের কাজ শুরু করে। রাত ৯টায় সিজার করে ছালেহা বেগমের একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। কিন্তু অপারেশনের কয়েক ঘন্টার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ডাক্তার আফরোজা তালুকদার জানায় রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রোগীর অভিভাবকরা চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ছালেহা বেগম সেখানে মারা যায়। তবে কন্যা সন্তানটি সুস্থ আছে। ছালেহা বেগম দক্ষিণ রহমতনগর গ্রামের এমআর সিদ্দিকীর বাড়ীর জাহাঙ্গীর উদ্দিনের স্ত্রী। এব্যাপারে ডাক্তার আফরোজা তালুকদার জানায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে রোগী মারা গেছে। এছাড়াও তার ১৮মাস আগেও সিজারের মাধ্যমে তার একটি ছেলে জন্ম গ্রহণ করে ছিল। এদিকে স্থানীয় ভাবে অভিযোগ উঠেছে অপারেশনের ত্রুটির কারনে এ মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও এ হাসপাতালে ৩/ ৪ জন্য সিজার রোগী মারা যায়। সীতাকুন্ড মডার্ন হাসপাতালের এমডি খালেদ মোশাররফ তা অস্বিকার করে বলেন গত ফেব্রুয়ারী থেকে এ হাসপাতালে প্রায় ৫০ জন রোগীকে সিজার কারানো হয়েছে। এই প্রথম একজন রোগী অতিরিক্ত রক্ষকরণের কারনে মারা যায়। তিনি আরও জানায় রোগীটি জরায়ুতে সমস্যা ছিল । অপারেশনের পর দেখা যায়  বাচ্চা পেটে উপর উঠে ছিল এবং ফুল নিচে নেমে যায়। এর পর অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েই সিজার করার জন্য ওটিতে নিয়ে যায়। এদিকে রোগীর সাথে থাকা আত্মীয় জনৈক ফারুক জানায় মডার্ন হাসপাতালে রোগী অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাত ১১টার সময় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর পরই ছালেহা মারা যায়। ডাক্তারদের কোন ত্রুটি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ছালেহার স্বামী জাহাঙ্গীর এখন মানসিক অবস্থা ভালনা,তিনিই সঠিক জবাব দিতে পারবে আমরা ৩য়পক্ষ কোন জবাব না দেওয়াটাই ভাল। এদিকে ঘটনাটি সীতাকুন্ড সদরে জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছে যে ১৮ মাসের মধ্যে ২বার সিজার করার রোগীটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে সাথেই চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দিলে এ ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারত। ডাক্তারদের দুরদর্শীতার কারনে আজ ৪ সন্তানের জননী ছালেহা বেগমকে প্রাণ দিতে হল। স্থানীয়রা ডাক্তারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একজন সাধারণ এমবিবিএস দিয়ে এধরনে স্পর্শকাতর অপারেশন কি ভাবে করে তা বুঝে আসছেনা বিবেকবান মানুষের । এব্যাপারে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন ইমরান জানান ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে দ্রুত। সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানায় এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি । অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেবে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অভিভাকদের সাথে সমঝোতার চেষ্ঠা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে একাধিক সূত্রে জানাযায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *