ইকবাল হোসেন,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টানা ২০ বছর পর পূনরায় ডেলিভারি কার্যক্রম চালু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবলের ঘাটতি থাকলেও সেবার মান উন্নয়নে আস্থা ফিরেছে বলে জানান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের।
এই কেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের গর্ভকালীন ও মাতৃত্বকালীন সেবা পাওয়া যেখানে দুঃস্বপ্ন ছিল। সেখানে প্রসবকালীন সময়ে মায়েদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে নতুন করে ঝুঁকিমুক্ত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার স্বপ্ন যেন সত্যিতে রূপ নিয়েছে প্রসূতি মায়েদের।
দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১-২ কিলোমিটার দূরত্ব হওয়ায় তাই প্রসবের রোগীরা উপজেলা হাসপাতালই ছুটে যান। ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালেও দৈনিক স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশন এবং মোটা অংকের টাকা নেওয়ার কারণে সবশ্রেণী পেশার মানুষজন এই স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মুরাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাটেরখিল গ্রামের আশরাফ ও তানজিনা আক্তার দম্পত্তির শিশুকন্যা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জন্মগ্রহণ করে।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকা জোবাইদা আক্তার নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নুর হাসান, পরিবার কল্যাণ সহকারী লক্ষ্মী রাণী দাশ, লায়লা আরজুমান আরা ও লুৎফুর নাহার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবাপ্রার্থীদের ডেলিভারি সেবা প্রদান করেন।
মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ নুর হাসান জানান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের স্যারের বিশেষ পরিকল্পনায় এবার মুরাদপুর ইউনিয়নে চলতি মাসের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয় এই কেন্দ্রে। স্যার, রোগীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আমাদের চলতি মাসে সমস্ত প্রত্যাশিত ডেলিভারি রোগীদের বাড়িতে সকল পরিবার কল্যাণ সহকারীর সাথে একসাথে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে দীর্ঘ বছর এই কেন্দ্রে সেবা প্রার্থী ভরসা পেয়েছে।
এ খুশির খবর শুনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের মা ও নবজাতককে শুভেচ্ছা জানাতে মুরাদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ছুটে যান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পরিকল্পনা বিভাগ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। যাতে সীতাকুণ্ডে স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম বাড়ানো যায়। সেই নির্দেশনায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু শূন্যে নামিয়ে এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।