সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় প্রেমিকের আত্মহত্যার চেষ্ঠা : ৯৯৯ এ কল করে বন্ধুরা বাঁচাল বন্ধুরে

প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় প্রেমিকের আত্মহত্যার চেষ্ঠা : ৯৯৯ এ কল করে বন্ধুরা বাঁচাল বন্ধুরে

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
প্রেমিককে বিয়ে করতে না পেরে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে গেয়ে পুলিশের জালে আটকা পড়ে প্রেমিক অবশেষে সীতাকুন্ড থানা হাজতে। প্রেমিকের নাম সোহেল (২৬)। নিজের প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় অন্য যুবকের সাথে। এটা মেনে নিতে না পেড়ে বেচে নেয় আত্মহত্যা। তারবাড়ি নোয়াখালিতে।
গতকাল আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি হানিফ বাসে উঠে পড়েন তিনি। এসময় বন্ধুরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। এক বন্ধু পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যুবকটিকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানায়। পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয় সীতাকু- থানায়। সেই সাথে উক্ত বন্ধুর মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়।
সীতাকু- থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন এ ঘটনা জানতে পেরে সোহেলের বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নেন এবং ই-মেইলের মাধ্যমে সোহেলের ছবি সংগ্রহ করে এস.আই সাজেদুলকে তাকে উদ্ধারের দায়িত্ব দেন। কিন্তু হানিফের কোন বাসে তিনি আসছেন তা জানতে না পারায় পুলিশ হানিফ পরিবহনের সব বাস তল্লাশি করতে থাকে। একপর্যায়ে সোহেলকে শনাক্ত করে তাকে থানায় নিয়ে আসেন।থানায় ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন যুবকটির সাথে কথা বলে আত্মহত্যা যে সমাধান নয় তা বোঝান। এতে তিনি শান্ত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল এ প্রতিবেদককে জানান, তার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায়। তিনি ঐ এলাকার মৃত আক্তার হোসেনের পুত্র। তবে ঢাকায় বাস করছেন দীর্ঘদিন। এর মধ্যে গত ২ বছর ধরে একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তার কাছে আর কিছুই ভালো লাগছিলো না। এ কারণে আতœহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং হানিফ পরিবহনে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে গিয়েই কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু পথিমধ্যে গাড়ি থামিয়ে সীতাকু- থানার পুলিশ তাকে ধরে আনে। তারা তাকে বুঝিয়েছে। কিন্তু তিনি মনকে বোঝাতে পারছেন না বলে জানান।
সীতাকু- থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, থানায় এনে আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি। আত্মহত্যা আসলেই কোন সমাধান নয়। জীবনে এমনটা হয়েই থাকে। অনেক বোঝানোর পর সে মোটামুটি বুঝতে পেরেছে। এখন তার পরিবারের সদস্যদের আসতে বলেছি। তারা এলেই ছেলেটিকে তাদের হাতে তুলে দেব। একটি জীবন রক্ষা করতে পেরে ভালো লাগছে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এ ধরণের ঘটনায় অবসাদগ্রস্ত হয়, নিজেকে সামলাতে না পেরে ভুল করে। আমরা আশা করছি পরিবারের সবার সাথে মিশলে ধীরে ধীরে সে ভুল পথ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *