সংবাদ শিরোনাম
Home / ইউনিয়ন সংবাদ / কুমিরায় সন্ত্রাসী শরীফের দাফটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

কুমিরায় সন্ত্রাসী শরীফের দাফটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

1394261_538473659574677_2059712180_nজেড এ আকাশ,১৮অক্টোবর (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
স্বঘোষিত সন্ত্রাসী কুমিরার শরীফ! একের পর এক ঘটনা জন্ম দেওয়ার জন্য বড় কুমিরার শরীফ (৪৫) এর কোন তুলনা নেই। শরীফের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে কুমিরার রেলওয়ে কলোণী ও রহমতপুরবাসী জনগণ। শরীফের হাজারো অপরাধ অনেকটা নিরবে সহ্য করে যায় এই এলাকার জনগণ। অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ১৪ বছর জেল কেটে আসে ২০০৪ সনে। নিজ বাড়ী নিউ রাজাপুর হওয়ার সত্বেও তার এলাকার লোক তাকে বিতাড়িত করে। পরবর্তিতে কুমিরায় রেলওয়ে কলোণীতে বসতি গড়ে সে। এবং শুরু হয় তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। আস্তে আস্তে গ্যাং গড়ে নিজের অতীত রেকর্টকে ছাড়িয়ে যেতে থাকে। রেল গাড়ীর যাত্রীদের থেকে বিভিন্ন কায়দায় জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে নারী গঠিত কেলংকারীতে সে জড়িত। স্থানীয় ডাল চাল মিয়া (রহঃ) মাজারের যাত্রীদের থেকে টাকা, মোবাইলসহ ভিবন্ন ধরণের জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয় সে এবং তার সাংগপাঙ্গরা। শরীফ জেল থেকে আসার পর কুমিরা মাজার গেইট এলাকার ভিতরের দোকানদারদের মধ্যে এক ধরণের চুরি-ডাকাতি ভীতি দেখা দেয়। প্রত্যেক রাতে দোকানের দরজা ও জানালার গিরিল ভাঙ্গাঁ অবস্থায় মাল পত্র লুড হতে থাকে। এতে দোকানদাররা অতিষ্ট হয়ে উঠে। একপর্যায়ে এক রাতে দোকানদারা চুরি চলাকালীন অবস্থায় হাতে নাতে ধরে পেলে। এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ, শরীফের কিছুই হল না। শুধু চেহেরাটা দেখল, আর শরীফ কোন বাঁধা ছাড়াই চলে গেল। এরকিছু দিনপর সে স্বেচ্ছায় এসে বলল আমি রাতে এখানের দোকানগুলো পাহাড়া দিব (চুরি যে করে দারোয়ানীও সে করবে)। কোন কিছু চুরি হবে না, বিনিময়ে প্রতিটি দোকান হতে আমাকে ১০টাকা করে ভাতা দিতে হবে। অপারগতার সত্তেও দোকানদাররা তা মেনে নিতে বাধ্য হয়। গত বছর মাজারের এক ভক্তকে সে জিনিসপত্র হাতিয়ে রড দিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। পরবর্তী স্থানীয় নিউরাজাপুর বাসী আমিন প্রতিবাদ করতে গেলে থাকে শরীরের ভিবিন্ন অংশে উপর্যপুরি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় মেম্বার আলমগীরের হস্তক্ষেপে তা মীমাংসিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস (৪০) বলেন, কিছুদিন আগে আমাকে মারার জন্য আমার বাড়ীর মধ্যে রাতে কিরিচ নিয়ে হামলা চালায়। আমি বাড়িতে না থাকায় সে দিন প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু আমার বাড়িতে প্রচুর ভাংচুর চালায়। এছাড়া একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ সুজন জানায়, এক মাস আগে রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় অন্ধকারে শরীফের নের্তত্বে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুমিরা ব্রীজের পাশে ফেলে রেখে যায় । পরে স্থায়ীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমান কোটে আমার এই মামলা চলমানধীন। গত তিন-চার দিন আগে স্থানীয় মৃত জহিরের ছেলে জয়নাল (২৯)কে ছুরিকাঘাত করে। এছাড়া সহস্র ঘটনার অন্যতম মূল হোতা এই শরীফ। শরীফের নের্তত্বে সর্বশেষ কমান্ডো স্টাইলে হামলাটি হয় গত ১৬ অক্টোবর ঈদুল আযহার দিন। সর্বসময় মাদকাসক্ত থাকা শরীফ ২.০০ টার সময় ১র্ম হামলা করে মৃত হোসেনের ছেলে মোঃ জনি (১৪)কে। চাচার বাড়িতে মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে থাকে হামলা করে বসে। এবং একই সময়ে তার সঙ্গিঁ সালাম (৩০) বাড়িঃ ঘোড়ামারা সাথে স্থানীয় নুরুল হুদা ছেলে নজরুলের (৩৫)এর সাথে তুমুল ঝকড়া হয়। একপর্যায়ে এই সব সন্ত্রাসীদের ঘটনার মোড় নেয় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী (বর্তমানে বিক্রয় করে না) বৃদ্ধ আবছারের (৬৩) দিকে । ঘটনার সময়কালীন সময়ে আবছার স্থায়ীয় স্থানীয় আজিজ মিস্ত্রীর দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। সে সময় শরীফের সঙ্গীঁ নিউ রাজাপুরবাসী আয়ুব খান (৩২) এসে আপছারের কাজ থেকে চাঁদা চাই (দৈনিক ২০০টাকা করে)। এই সময় বৃদ্ধ আপছার বলেন, আমি এখন মাদক ব্যবসা করি না, তাহলে চাঁদা দিব কেন? (উল্লেখ্য, গত তিন মাস যাবত্ মাদক বিক্রয় না করার ফলে ওরা চাঁদা পাচ্ছিল না। তাই, পূর্ব থেকে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল)। ঐ সময় আয়ুব খান বলে, বিক্রয় না করলেও দিতে হবে।দুই জনের ভিতর কথা কাঁটা কাটির এক পর্যায়ে পিছন থেকে আফছারকে বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে। শরীফ সে সময় তার অন্য দুই সঙ্গিঁ সালাম ও আয়ুব খানকে রড ও রামদা হাতে দেয়। এরপর শত শত মানুষের সামনে (উল্লেখ্যঃ শরীফের ভয়ে তখন তারা ভীত হতবম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল) বৃদ্ধ আফছারকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে কুপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আবছার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় রাস্তায় তাদের হামলায় অসংখ্যা মানুষ আহত হয়। খবর পেয়ে তাঁর পরিবার এগিয়ে গেলে, আবছারের এসএসসি পরিক্ষাথীঁ মেয়ে (১৫) সন্ত্রাসী সালামের ছুরির আঘাতে আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা ও তাঁর পরিবার মিলে আফসারকে সীতাকুন্ড হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ, আয়ুব খান ও সালাম এরা আফছারের ঘরে এলোপাতাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এ সময় বাড়ীতে অবস্থানকারী আফছারের ছোট ছেলেকে তারা ঘর থেকে বাহির হয়ে আসতে ভিবিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। থাকে না পেয়ে বাড়ির সামনে অবস্থানকারী রহিমের বউ রুমানা (২৪) কে রড় দিয়ে জখম করে। এছাড়া মুন্নী (৩), কলি (১৫) ও কাজল (২১)কে গলা ও পিঠে ছুরি বসায় এবং মহিলাদের বিভিন্ন বিকৃতি কতা বার্তা বলে নাজেহাল করে। ঘটনার পরক্ষণে রহমতপুর গ্রামে গিয়ে তারা বিভিন্ন মানুষকে কুঁপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে আফসারের পরিবার নিরাপত্তার জন্য থানায় ফোন করলে, থানা থেকে এসআই সত্যরন্জনকে পাঠায়। গঠনার স্থলে এসে তিনি শরীফকে পায়। এসআই এই সব ঘটনা কেন করেছে জিজ্ঞাসা করলে, শরীফ পুলিশকে বলে, মাদক বিক্রয় করায় আমরা এলাকার মানুষরা মিলে থাকে গণ দোলাই দিচ্ছিলাম (যদিও বা এলাকার প্রদান সমস্যার কারণ শরীফ নিজেই)। পরে এসআই সত্যরন্জনকে হুমকি দেয় শরীফ । রাতে আফসারের পরিবার থেকে নিরাপত্তার জন্য আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করলে, মূল আসামী শরীফকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তখন অন্যরা লুকিয়ে পড়ে। ১৭/১০/২০১৩ইং দুপুর ২.০০ টার সময় শরীফকে আদালতে চালান করে দেয়। ঐ দিন শরীফকে গ্রেফতারের পর সালাম ও আয়ুব খান রহমতপুর এলাকায় র্নিবিচারে সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা শুরু করলে। সন্ধ্যায় সালামকে রহমতপুরবাসী জনতা গণ দোলাই দেয়া শুরু করে। পরে স্থানীয় জ্বীনে হুযুর ডাঃ রমজান আলী সন্ত্রাসী সালামকে মুক্ত করে তার ঘরে আশ্রয় দেয়। পরে রমজান আলীর হেফাজত থেকে সে পালিয়ে যায়। উত্তর রেলওয়ে কলোণী এবং রহমতপুরবাসী জনগণ দ্রুত অন্যান্য আসামীদের প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আওতায় এনে এসব কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের আসু দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *