সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে শিক্ষক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান – চট্টগ্রামে শাহজাহান সাজু

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে শিক্ষক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান – চট্টগ্রামে শাহজাহান সাজু

received_1486266218105269
প্রেস বিজ্ঞপ্তি,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে শিক্ষক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)।
রোববার (২৯শে অক্টোবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাশিপের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবীতে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে এ আহবান জানানো হয়। ড. আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাশিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব সরকার। তিনি শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্বাশপের পতাকালে এক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
শাহজাহান আলম সাজু বলেন, শুধু জাতীয়করণের দাবি নয়, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি এমপিও ভূক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্ররাসার শিক্ষকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)। অতীতে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামের নামে একশ্রেণির শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ সূত্রিতা তৈরী করে কেবল নিজেদের আখের গুছিয়েছে। অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত শিক্ষকদের কোন কল্যাণ হয়নি। এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোট গ্রহণ এবং আদম শুমারির মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজেরও আনজাম দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ১০ শতাংশ শিক্ষককে সরকারীকরণের আওতায় রেখে ৯০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৫ লক্ষ বেসরকারি শিক্ষকদের বঞ্চিত রেখে কোনোভাবে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সরকার আন্তরিক থাকলে দাবী আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামের প্রয়োজন হয় না। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শিক্ষা বান্ধব আখ্যায়িত করে বলেন, ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেনিফেস্টোতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের প্রস্তাব ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের জন্য তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা সে সুযোগ দেয়নি।
শাহজাহান আলম সাজু বলেন, সরকার আন্তরিক থাকলে দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের প্রয়োজন হয় না। আলোচনার মাধ্যমেই দাবী আদায় সম্ভব। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বেসরকারী শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক বলেই, ২০% মহার্ঘ্য ভাতা এবং নতুন পে-স্কেলে বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত হতে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে নামতে হয়নি। তিনি আগামী বছরের শুরুতেই বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানসহ বেসরকারী শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মহাসমাবেশের আয়োজনের কথা জানান।
IMG_20171029_164256
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) চট্টগ্রাম নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল আলা মোহাম্মদ হোছামুদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো: হারুন অর রশিদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন, মরক্কোর আগাদী ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন মাহী। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন স্বাশিপ চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ সভাপতি রেজাউল করিম ছিদ্দিকী, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, সৈয়দ মোহাম্মদ খালেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নঈম মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মাদ্রাসা ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা এস.এম ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম শামিম, জামাল সাত্তার, অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন, অধ্যক্ষ নুরুল কবির,মাওলা
না ইরফানুল করিম, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুছা, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন, অধ্যাপিকা জেসমিন আকতার শিমুল, অধ্যাপিকা সোহানা শারমিন, অধ্যাপিকা আরজিতা রওজাত বানু, অধ্যাপিকা মিনু আরা বেগম, প্রধান শিক্ষক আজম খান, প্রধান শিক্ষক মাইমুনুর রশিদ, প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন, ছাদুর রশিদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *