সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ড বারআউলিয়ায় পুলিশের গাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতাকে ছিনতাইকালে সংঘর্ষ ঃ পুলিশসহ আহত-১০, আটক-৬

সীতাকুণ্ড বারআউলিয়ায় পুলিশের গাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতাকে ছিনতাইকালে সংঘর্ষ ঃ পুলিশসহ আহত-১০, আটক-৬

এমডি দিদার, সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
সীতাকুণ্ডে এক যুবলীগ নেতাকে আটকের পর পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের সাথে যুবলীগের সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এসময় পুলিশ হামলাকারী যুবলীগ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

পরে পুলিশ ইয়াবা ব্যবসায়ী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরীসহ ৬ যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে।
পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবলীগ কর্মী।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার সাড়ে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফুলতলা রাস্তার মাথায় ইয়াবা ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা অহিদুল আলমসহ কয়েকজন ইয়াবা বিক্রির উদ্যোশ্যে অবস্থান করছে বলে পুলিশ জানতে পারে।এ সংবাদ পেয়ে থানার এস আই হারুনুর রশিদ ও এস আই আমির হামজা ঘটনাস্থলে গিয়ে অহিদকে ইয়াবাসহ আটক করে। তাকে আটক করে পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোতে (চট্টঃমেঃ-চ-১১-৩৫২৩) তুলে নিয়ে আসার সময় অহিদের সাঙ্গপাঙ্গরা গাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে।এতে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং অহিদকে তার সঙ্গীরা ছিনিয়ে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইদ্রিছের অফিসে যায়।

থানার অফিসার ইনচার্জের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা ওসি (অপারেশন) মোঃ জাব্বারুল ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনা শুনে বিপুল পরিমান পুলিশ ফোর্স গিয়ে হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় অহিদসহ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।পুলিশ অহিদের দেহ তল্লাশী করে ১৩৬ পিচ ইয়াবা পায়।পুলিশের উপর হামলাকারী আটককৃত অন্যরা হলো-মোঃ সাহাবউদ্দিন (৪২), সাদেক (২৫),নুর উদ্দিন(৩১),নয়ন(২৪) ও আলাউদ্দিন(৩৮)।আটককৃত সকলের বাড়ী সীতাকু- ও মিরশরাই উপজেলায়।তবে বিগত কয়েক মাস পূর্বে ইয়াব ব্যবসায়ী অহিদ ইয়াবাসহ আটক হয়ে কয়েকবার জেলও খাটে।ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাঙ্গপাঙ্গ সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যরা হলো-এস আই হারুনুর রশিদ,এএসআই হাসান তারেক,কনষ্টেবল মোঃ সোহেল ও মোঃ সোহাগ।ইয়াবা ব্যবসায়ীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা এলাকায় মহা লংকাকান্ড ও চাঞ্চলোকর অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ ইদ্রিছ জানান,পুলিশ সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদকে ইয়াবার মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা করে।পুলিশের হ্যান্ডাকাপ পড়া অবস্থায় অন্যরাসহ পরবর্তীতে আমার অফিসে এসে তারা অবস্থান নেয়।পুলিশ এলাকায় আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্য একাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।
তিনি আরও বলেন ‘সিভিল পোশাক পরিহিত দুজন পুলিশ এসে আমাদের যুবলীগ নেতা অহিদুলকে গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ অতর্কিতে গুলি করে আমার দোকানে ঢুকে অহিদুল ও শাহাবুদ্দিনকে আটক করে নিয়ে গেছে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ পিটিয়ে আহত করেছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, ‘মাদক মামলায় একজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক রাউণ্ড গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে।

এব্যাপারে মডেল থানার ওসি অপারেশন মোঃ জাব্বারুল ইসলাম বলেন,প্রকৃত পক্ষে অহিদ একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং কয়েক মাস পূর্বে সে ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেলও খাটে।তার বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধা,পুলিশের উপর হামলা,গাড়ী ভাঙ্গচুর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *