সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক :
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম-৪) এর বিএনপির প্রার্থী ইসাহাক কাদের চৌধুরীর বাড়িতে নির্বাচনী সভা থেকে আটককৃত ১৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে চট্টগ্রাম আদালত গতকাল জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজাতে প্রেরণ করেছে । এডভোকেট সরোয়ার লাভলু জানান বুধবার চট্টগ্রাম অতিঃ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল হোসেনের আদালতে সীতাকুন্ড থেকে গ্রেফতারকৃত ১৪জনের জামিন চাওয়াহলে তিনি জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজাতে প্রেরণ করেন তাদের।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী জানান তার অসুস্থভাই নাজিমকে আদালত জামিন দেয়নি এবং তার বাড়িতে বিয়ের দাওয়া নিয়ে আসা ৭০ বছরের বৃদ্ধকেও আদালত জামিন দেইনি। অথচ আগামী ১৫ডিসেম্বর তার ছেলের বিয়ে।
নির্চানী সভা থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর ও প্রার্থীর অসুস্থভাই সহ বিএনপির ১৪ নেতাকমীকে বিনা অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সীতাকুণ্ড উত্তর থানা শাখার আমীর তওহীদুল হক চৌধুরী ও দক্ষিণ শাখার আমীর আনোয়ার সিদ্দীক চৌধুরী।
তারা যৌথ এক প্রতিবাদ বার্তায় বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভোটারবিহীন ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের প্রহসন করার হীন উদ্দেশ্যে সীতাকুণ্ডে ধানের শীষ প্রার্থীর বাড়ীতে হামলা ও গ্রেফতার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিনা পরোয়ানায় পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। পুলিশের এ ধরনের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে, যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে কাউকেই গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। অথচ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর ও বি এন পি’র নেতা-কর্মীদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার করছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণের কোন চেষ্টাই করছেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে মত সীতাকুণ্ডে ও গ্রামে গ্রামে বেআইনীভাবে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে যেতে না পারে সে জন্যই পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন পুলিশের বেআইনী তৎপরতা বন্ধ করে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেআইনী গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে সীতাকুন্ডে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য দাবী জানান।