সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / ভাটিয়ারীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ অপহরণকারী আটক

ভাটিয়ারীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ অপহরণকারী আটক

সাইফুল মাহমুদ,৭ ফেব্রুয়ারী(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- প্রেমের ফাঁদে ফেলে সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ট্যোবাকোর উপকূলিয় এলাকার সন্ধীপ ফেরীঘাট থেকে সিএনজি সহ দুই অপহরণকারীকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় শুক্রবার বিকাল ৩টায় ট্যোবাকোর উপকূলীয় ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অপহৃত রাসেলের পিতা আকবর হোসেন জানান গত ২৫নভেম্বর তার ছেলে মাদামবিবি শাহাজানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজা খুঁজিতে না পেয়ে ঘরে ফিরে আসার পর ঐদিন সন্ধ্যা ৭টার সময় একটি অপরিচিত (০১৯৮১-৬৭২১১৯) মোবাইল নাম্বার থেকে আমার ব্যাক্তিগত মোবাইলে কল করে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি বলেন তোর ছেলে রাসেল আমাদের জিম্মায় আছে। তাকে ফেরত পেতে চাইলে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে তোর ছেলের লাশ পাবি। রাসেলের পরিবার ঐদিন রাতেই সীতাকুন্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ( ১০৭২/১৩ )। ও পরদিন রাসেলের পরিবার র‌্যাব ৭ এ (চট্টগ্রাম) আরেকটি অভিযোগ করেন (৬৩১/১৩) পুলিশ রাসেলের পরিবারকে বলেন অপরহরন কারীদের সাথে টাকা নিয়ে দেনদরবার করার জন্য। পুলিশের কথামত রাসেলের পরিবার অপহরনকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে দরকষাকষিতে টাকা পরিমান শেষ পর্যন্ত ১লক্ষ টাকায় মেনে নেয় অপহরনকারীরা। গত ২৮ নভেম্বও অপহরনকারীদের কথা মত আতœীয়স্বজনের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল মোড়ে গেলে অপহরনীকারীদের একজন রাসেলের পিতার কাছে আসেন এবং টাকা দিতে বলেন । তখন আকবর হোসেন তার ছেলে রাসেল কোথায় জিজ্ঞেস করলে অপরহনকারী বলেন বেশি বাড়াবাড়ি করিওনা বাড়াবাড়ি করলে তোমার ছেলেকে মেরে ফেলব। এটা বলাতে রাসেলের পিতা তখন টাকাগুলো অপহরনকারীর হাতে তুলে দেন । কিন্তু টাকা নিয়ে লোকটি একটি অপেক্ষারত সিএনজিতে ( চট্টমোট্টো থ – ১২-৪৯১৫) উঠে পালিয়ে যায় এবং উক্ত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেন। উপায় না পেয়ে রাসেলের পিতা আবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশ বলেন দেশের গোলযোগে আমরা ব্যস্ত রয়েছি। আপনারা অপরহরনকারীদের সাথে একটি মেয়ে দিয়ে প্রেমের নাটক সাজিয়ে তাদের কে ধরার চেষ্ঠা করেন। পুলিশের পরামর্শ মতে রাসেলের পরিবার অপহরনকারীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত। মোবাইলফোনটি প্রায় সময় বন্ধ থাকতো কিন্তু আবারও একদিন চেষ্ঠা করে দেখা যায় ফোনটি খোলা তখন কলটি অপহরনকারী হোসেন আহাম্মদ রিসিভ করলে মেয়েটিকে রং নাম্বার বলে রেখে দেন। এরপর থেকে অপহরনকারী মেয়েটির সাথে ফোনে প্রায় যোগাযোগ করে প্রেম বিনিময় করত। র্দীঘ আড়াই মাস রাত – দিন ২৪ঘন্টা ফোনে আলাপ হতো দু’জনের মধ্যে। একদিন অপহরনকারী হোসেন আহম্মদ মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে মেয়েটি রাজি হয়। মেয়েটি বলেন আমি কখনো এর আগে চট্টগ্রাম যাইনি। তখন অপহরনকারী হোসেন ৭ফেব্রুয়ারী শুক্রবার টোবাকোর সন্দ্বীপঘাটে মেয়েটিকে আসতে বলেন। সে গাড়ি নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করার কথা জানান। এদিকে রাসেলের পরিবার ঐকথা অনুযায়ী আগে থেকেই ঘাটে ওঁৎপেতে ছিল । মেয়েটি লঞ্চ থেকে নেমে অপহরনকারী প্রেমিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে চিনে নিয়ে কাছে আসলে স্থানীয় জনতা সহ রাসেলের পরিবার চারিদিকে ঘিরে সিএনজি সহ দুই অপহরনকারীদের আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। পরিষদের মেম্বার ছাব্বির আহম্মদ চৌ. সীতাকুন্ড থানার পুলিশকে খবর দিয়ে অপহরনকারীদের পুলিশের এস আই মোস্তাকের হাতে তুলে দেন। অপহরনীকারীদের মধ্যে মুল হোতা হলেন হোসেন আহম্মদ (২২) পিতা-নাজিম হোসেন সাং টেকানাফের উকিয়ায়। সিএনজি চালক মো. হারুন উর রশিদ (৩০) পিতা: মৃত আবুল কালাম সাং গ্রাম দূর্গাপুর, থানা মনারগঞ্জ, লাকসাম। থানা পুলিশে ওসি ইফতেখার হাসান বলেন ধৃত অপহরনকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে প্রকৃত অপহরনকারীকে খুঁজে বের করে অপহৃত রাসেলকে উদ্ধার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *