আব্দুল্লাহ আল ফারুক/সাইফুল মাহমুদ ,১০ ফেব্রুয়ারী (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুন্ডে প্রেমে সাড়া না দেয়ায় এক কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে পরিবারের লোকজনকে মারধর করে আহত করেছে এক যুবলীগ নেতা। রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদামবিবিরহাটস্থ জাহানারাবাদ এলাকার ফরিদা আকতার (১৭) নামে একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীকে গত ৫/৬ মাস ধরে কলেজে যাওয়া-আসার সময় মো. রাসেল (২৬) তার দলবল নিয়ে পথ আগলে তাকে উত্তক্ত্য করত। যুবলীগ নেতা রাসেল স্থানীয় নবজাগরন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায়। কিন্তু সে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে উত্তক্ত্য করায় মেয়েটি ভয়ে এক পর্যায়ে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মেয়েটির বাবা গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তির কাছে বিচার চাইলে রাসেল আর কখনো মেয়েটিকে বিরক্ত করবে না বলে ক্ষমা চায়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও বখাটে রাসেল তার দল-বল নিয়ে মেয়েটিকে বিরক্ত করে এবং দেখে নেবে বলে শাসিয়ে যায়। তার ধারাবাহিকতায় গত রবিবার রাত ১টার দিকে মদ্যপান অবস্থায় ১০/১২ সশস্ত্র যুবক নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের টিনের বেড়া কেটে ফেলে এবং ঘরের ভিতর ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। হামলায় মেয়েটির পিতা নেছার আহম্মদ ও বড় ভাই মো. সেকান্দর আহত হয়। খবর পেয়ে রাতেই সীতাকুন্ড থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল্লাহ ঘটনাস্থলে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায় এবং পরে আহতদের উদ্ধার চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
অভিযুক্ত রাসেল ঘটনা সর্ম্পকে বলেন, এই ঘটনায় আমি জড়িত নয়। ওরা আমার উপর হামলা চালিয়ে আহত করলে আমার সঙ্গিরা আমাকে নিয়ে চলে আসে। তারা নিজেরাই ঘর ভাংচুর করে আমার উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটির সাথে তার সর্ম্পক ছিল বলে দাবী করে সে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হাসান বলেন, মেয়েটির পরিবার থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।