সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
সীতাকুণ্ডে দুইটি পৃথক স্থান থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সীতাকুণ্ডের ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়ন ও ২নং বারৈয়ারার ঢালা ছোট দারোগারহাট পৃথক দুটি স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে, সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ।
বুধবার (৩০ মে) সকালে লাশ ২টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেকের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের পেশকার পাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র জয়নালের (৩৫) লাশটি ছরার পাড়ে পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারগণ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত জয়নাল বিয়ের ডেকারেশেনের বয়ের কাজ করত বলে তার পরিবার জানান। পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চমেকের মর্গে প্রেরণ করে।
অন্যদিকে ২নং বারৈয়ারারঢালা ইউনিয়নের ছোটদারোগারহাট সংলগ্ন গুলগুলা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২০০ ফুট পূর্বে পার্শ্বে পরিত্যক্ত জমিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজিব (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ।
তিনি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ার মোহাম্মদ হানিফের পুত্র। সে গত ১৮ মে ত্রিপুরা দুই তরুনী হত্যার মামলার অন্যতম আসামী বলে পুলিশ জানায়।
১৬৪ ধারায় তার নাম আদালতে লিপিবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তার মাথার ও বুকের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলির চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়েছে।
পুলিশ তার মৃত দেহ তল্লাশি করে ২০০০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেকের মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে এস.আই ইকবাল জানান, নিহত রাজিবের দেহ তল্লাশি করে আমরা ২’হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার করি। আমার মতে দুই গ্রুপের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ে গুলি বিনিময় হয় বলে মনে করি। রাজিব গত ১৮ মে ত্রিপুরা দুই তরুনী হত্যার মামলার অন্যতম আসামী।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, বুধবার সকালে মুরাদপুর ও ছোটদারোগার থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন থেকে জয়নাল নামে একটি লাশ উদ্ধার করি ও ছোট দারোগারহাট থেকে ত্রিপুরা মামলার মুল আসামী রাজিব এর লাশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উভয় লাশগুলো চমেকেরে মর্গে প্রেরণ করি। নিহত জয়নালের ময়নাতদন্তের রির্পোট অনুযায়ী মামলা রজু সহ আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।