সীতাকুণ্ড টাইামস ডেস্ক ঃ
সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড় আমতল কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনা আর না হওযার জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় মিলাদ মাহফিলের আযোজন করেছে।
এতে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করা হয়। লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। কিন্তু এ সড়কটির সীতাকুন্ড অংশ এখন ডেডলাইনে পরিণত হয়েছে।
এমন কোন দিন নেই চট্টগ্রামের এই দুই উপজেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার অংশে কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটছে হচ্ছে প্রাণহানী। চালকদের ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা, বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানোর ফলে অব্যাহত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশ।
গত একমাসেই উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরো ৭০ সাধারণ মানুষ। ওয়ান বাই সড়ক হওয়ার পর মহাসড়কের দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বিশেষ করে সড়কের পাশে স্কুল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করলেও সড়কগুলো আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠছে এভাবে প্রতিদিনই মহাসড়কের কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চালকদের ৭০ শতাংশেরই বৈধ কাগজপত্র নেই। সিএনজি চালিত লেগুনা এবং সেইফ লাইন নামে প্রায় শতাধিক গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে। এছাড়া সীতাকুণ্ড এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যাটারী চালিত রিক্সা রয়েছে।
যার কোনোটিরই বৈধ লাইসেন্স নেই। এসব গাড়ির চালকেরা বেশিরভাগই আনাড়ি। স্থানীয় রিক্সা চালকরা অভিজ্ঞতা ছাড়াই এগুলো চালাচ্ছে।
যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানো, মাত্রাতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকের প্রতিযোগিতা, চালকদের অবসাদগ্রস্ততা কিংবা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, যানবাহনের যান্ত্রিক ক্রটি এবং চালকদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অনভিজ্ঞতা এবং ট্রফিক আইন না জানা ও যথাযথ অনুসরণ না করাই এসব দুর্ঘটনার কারণ হলেও প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।