সংবাদ শিরোনাম
Home / জাতীয় / সীতাকুন্ডে টানা বর্ষনে পাহাড় ধসে ঘটতে পারে প্রাণহানী || ঝুকিপুর্ণ বসবাস ||

সীতাকুন্ডে টানা বর্ষনে পাহাড় ধসে ঘটতে পারে প্রাণহানী || ঝুকিপুর্ণ বসবাস ||

সাইফুল মাহমুদ, ৭ জুন (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম) –ctg sitakund pahar dhoss (3)
সীতাকুন্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন থেকে ছলিমপুর পর্যন্ত পাহাড়ে অন্তত চার হাজার ২০০ পরিবারের ২১ হাজার লোক ঝুকি নিয়ে বসবাস করে যাচ্ছে। টানা বর্ষনে এসবস্থানে যেকোন মুহুর্তে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রানহানি ঘটতে পারে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে দু’তিনবার মাইকিং করা হলেও একটি পরিবারও ঝুকিপুর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদস্থানে যায়নি। মুলত মাইকিং করা ছাড়া পাহাড়ী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসনের আর কোন তৎপড়তা দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। ফলে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণ হানীর আশঙ্কা থেকেই গেল।
কুমিরা রেলস্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারী কৃষক দিদারুল আলম বলেন, এ জায়গাটা ছাড়া আমাদের যাওয়ার আর কোন স্থান নেই। সরকার নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু কোথায় যাব। কে দিবে আমাদেরকে জায়গা।
মছজিদ্দা এলাকার জীবন ত্রিপুরা বলেন, বাপ-দাদাদের আমল থেকে এ পাহাড়ে বসবাস করছি। কখনো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া সরকার চট্টগ্রাম শহরের মত আমাদের জন্যও তাবুর ব্যবস্থা করে দিলে আমরাও চলে যেতাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ডের পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে চার হাজার ২০০ টি পরিবার বসবাস করছে। বসবাসকারীদের মধ্যে প্রায় সবগুলো পরিবারই ভুমিহীন অসহায় ও অসচ্ছল। সরেজমিনে বারৈয়ারঢালা, কুমিরা, জঙ্গল ছলিমপুর ঘুরে দেখা গেছে, বাস্তুহারা লোকজন পাহাড়ের ঢাল কেটে সমতল করে টিন, ছন ও বাঁশদিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মান করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। কোথাও কোন ধরনের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলে শতাধিক লোকের একসাথে প্রানহানী ঘটবে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ২৬ জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় ছিন্নমুল বস্তিতে পাহাড় ধসে কুমিল্লা জেলার তিতাসের জরিকান্দি এলাকার মৃত মহসিন আলীর ছেলে শামছুল আলম(৪০) ও নাতি ইয়াসিন ওরফে ফরহাদ(৬) মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান প্রতিবেদককে বলেন, ঘুর্ণিঝড় মহাসেন আসার আগে জঙ্গল ছলিমপুর পাহাড়ে তিনবার মাইকিং করা হয়েছিল। তখন অতিঝুকিপুর্ণ ১০ টি পরিবারকে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগীতায়। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের মত পাহাড়ী এসব বাসিন্দাদের দীর্ঘ মেয়াদী নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই। যে কয়দিন বৃষ্টি হবে ঝুকির পরিমান বুঝে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *