সংবাদ শিরোনাম
Home / ইউনিয়ন সংবাদ / সীতাকুন্ডে যুবলীগ নেতাকে পিটুনীর দৃশ্য দেখে ফেলায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত ঃ প্রেসক্লাবের নিন্দা

সীতাকুন্ডে যুবলীগ নেতাকে পিটুনীর দৃশ্য দেখে ফেলায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত ঃ প্রেসক্লাবের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিনিধি,ি২৬ ফব্রেুয়ারী (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুন্ড মডেল থানার এএসপি সাইফুল ইসলাম এক যুবলীগ নেতাকে পিটানোর সময় দেখে ফেলায় স্থানীয় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে। জানা যায়, মুরাদপুর এলাকা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান রহুল আমিনের ছেলে মোঃ শহিদকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। বুধবার দুপুর ১টায় তাকে দেখার জন্য তার ভাই মুরাদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল থানা হাজতে যায়। সীতাকুন্ড মডেল থানার এএসপি সাইফুল ইসলাম হাজত খানায় যাওয়ার অপরাধে দুলালকে আটক করে তার ভাই শহিদকেসহ একত্রে বেদম প্রহর করে। এসময় শহীদ অজ্ঞান হয়ে লুঠিয়ে পড়ে। তাদের স্বর চিৎকার শুনে থানায় উপস্থিত মানব জমিন সীতাকুন্ড প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও দৈনিক ভোরেরপাতা প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম থানা ভবনের ২য় তলায় এসআইদের কক্ষে গিয়ে পিটুনীর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। এসময় এএসপি সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সাংবাদিক এখানে কেন এসেছে কৈফিয়ত চায়। এসময় তার বডিগার্ড কনেস্টেবল নেছার আহমেদ সাংবাদিকদের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এপর্যায়ে এএসপিও সাংবাদিকদেরকে লাঞ্ছিত করে। এসময় ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দুঃখ প্রকাশ করে। এএসপি সাইফুল কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, সীতাকু- প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি খায়রুল ইসলামসহ সকল সাংবাদিক বৃন্দ। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বেও থানার অনেক হাজত দর্শনার্থীকে আটক করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চালানের ঘটনা ঘটিয়েছে এই এএসপি। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেক দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এএসপি সাইফুলকে অবিলম্বে সীতাকু- মডেল থানা থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *