সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
চলো যাই গ্রামে
—মোঃবদিউল আলম বদরুল
চলো যাই গ্রামে
শহর থেকে গ্রামে
থাকবে খুব আরামে।
চলো যাই গ্রামে
ভোরে মধুর সুরে আজানের ধ্বনি
ফজরের নামাজে পাবে শান্তির খনি।
চলো যাই গ্রামে
কঁচি কাঁচা শিশুরা যাচ্ছে মক্তবে বুকে যত্নে ধরা আল কোরান
তাদের ধরাজ কন্ঠে কোরআন পড়া জুড়িয়ে যাবে প্রাণ।
চলো যাই গ্রামে
শীতের সকালে খেতে পারবে
খেজুরের গুড আর রসের নানা জাতের মজার পিঠা।
চলো যাই গ্রামে
পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনতে পাবে
পাখি আর কাঁঠবিড়ালির ঠোঁটে পাড়া তাজা ফল খাবে।
চলো যাই গ্রামে
পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু
জাল দিয়ে মাছ ধরা আর গরুর দুধের চা খাওয়া করতে পারবে শুরু।
চলো যাই গ্রামে
লাকড়ি দিয়ে গ্রামের মাটির চুলোয় নির্ভেজাল রান্না
খেতে খেতে শহরের ভেজাল খাওয়ার কথা চিন্তা করে চোখে আসবে কান্না।
চলো যাই গ্রামে
মোঠোপথে খালি পায়ে যাবে হাঁটা
শহরের কম্বল বাদ দিয়ে গায়ে উঠবে নকশীকাঁথা।
চলো যাই গ্রামে
সহজ সরল সাদা মনের মানুষের পাবে দেখা
তাদের হৃদয় নিংডানো ভালোবাসায় খাবে না তো ছ্যাঁকা।
চলো যাই গ্রামে
চতুর দিকে নীল আকাশ আর সবুজের মেলা
সারা দিন খেলা করে তোমার কেটে যাবে বেলা।
চলো যাই গ্রামে
বর্ষার থৈ থৈ পানিতে ভাসাবে কলা গাছের ভেলা
মনের আনন্দে ঘুরবে এই যেন মহা খুশির মেলা।
চলো যাই গ্রামে
পোঁড়া লংকা আর পিঁয়াজ দিয়ে মজা করে খেতে পারবে পান্তা ভাত
তাতেই পেট তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে আমরা যে বাঙালির জাত।
চলো যাই গ্রামে
গড়ে তুলি শহর আর গ্রামের সেতু বন্ধন
গ্রামের মানুষের আথিতেয়তা আর ভালোবাসা দেখে আসবে আনন্দের কন্দন।