সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃঃ
সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে পানি উত্তোলন করে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করায় বাড়বকুণ্ডের এসকে. এম এলাকায় আর এম ড্রিংকিং ওয়াটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে বিএসটিআই উপযোগী না করা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের এসকে. এম গেইট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। রবিউল হোসেন নামে এক ব্যক্তি আর এম ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানাটি পরিচালনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী (সিএম) মো: মাহফুজুর রহমান , পরিদর্শক (মেট্রোলজি) সাগর কর্মকার এবং পুলিশের একটি টিম।
প্রতিষ্ঠানটিকে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়াই ড্রিংকিং ওয়াটার পণ্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের অপরাধে বিএসটিআই আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী (সিএম) মাহফুজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্টানে বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। এখানে এসে দেখি অবৈধভাবে পানি সরবরাহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানাটিতে খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে। এছাড়াও পানির মান রক্ষার জন্য যেসব প্যারামিটার টেষ্ট করা হয়, সেরকম কোনকিছুই ব্যবস্থা নেই। এসব অস্বাস্থ্যকর পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ। যেগুলো থেকে মানুষজন নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কারখানাটিতে বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নাই। ম্যাজিস্ট্রেট আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পর বিএসটিআই উপযোগী না করা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলা উদ্দীন বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করি। এখানে এসে দেখতে পাই আর এম ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা থেকে খাবার পানি সরবরাহ করা হয়। যেহেতু পানির স্বাস্থ্য ও জীবনের সাথে জড়িত। সেহেতু এই প্রতিষ্টানের বিএসটিআইয়ের কোনধরনের অনুমোদন নেই। প্রতিষ্টানটিকে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিএসটিআই অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য যে সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যে প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে পানি উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। এর আগে নীল ড্রিঙ্কিং ওয়াটার নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।