সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / শরীফা ফলের যত গুন

শরীফা ফলের যত গুন

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
শরীফা ফল একটি দেশীয় ফল। এটি খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাধু।
বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে আজ অনেকেই বেকারমুক্ত!১২ মাসি থাই শরীফা একমাত্র ফল যা রোপন এবং পরিচর্যা খুবই সহজ! নাম মাত্র খরচ করে প্রতি বিঘা থেকে বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার ফল বিক্রি করা যায়। আপনি চাইলে সাদেও এই ফল গাছ ড্রাম/বড় টবে রোপন করতে পারেন। স্বাদে এবং পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফল! যা বাজারে ৩৫০-৬০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রয় হয়!

বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরেও খুব জনপ্রিয় একটি ফল শরীফা! স্বাদের দিক থেকে ইহা বেশ ক্রিমী এবং অনেক মিষ্টি, যা ছোট বড় সবার কাছেই প্রিয়!

👉পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটির প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গুণে ভরা আতাফল। চলুন জেনে নেই শরীফা ফলের ঔষধি উপকারিতা সম্পর্কে।

👍হজমশক্তি বৃদ্ধিতে খাবারের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে শরীফা ফলে থাকা ফসফরাস উপকারী ভূমিকা পালন করে। এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা তারা এই শরীফা ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন।

👍দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
শরীফা ফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আছে। আর এই ভিটামিন উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। সেক্ষেত্রে শরীফা ফল অনেক সহায়ক। যাদের চোখের সমস্যা তারা শরীফা ফল খাবেন, এতে আপনার চোখের উপকার হবে।

👍হাড় মজবুত করতে
শরীফা ফলে প্রচুর ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। আর শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম সরবারহ করতে সক্ষম এই শরীফা ফলটি। তাই হাড় মজবুত করতে শরীফা ফল খাওয়া উচিত।

👍রক্তে নিস্তেজ ভাব কমে গেলে
ঠাণ্ডার কোনো ব্যধি না থাকলে তাহলে পাকা শরীফার শাঁসের রস ২/৩ চা চামচ করে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে রক্তের নিস্তেজ ভাবটা সেরে যায়। আবার যদি রস করা সম্ভব না হয় তাহলে পাকা শরীফা এমনি খেলেই চলবে।

👍চুল ও ত্বকের যত্নে
শরীফা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বার্ধক্য বিলম্বিত করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

👍অপুষ্টিজনিত কৃশতায়
শিশু, যুবক যুবতী বৃদ্ধ যে কোনো বয়সেরই হোক এ ক্ষেত্রে পাকা শরীফা ফলের রস ২/৩ চা চামচ করে একটু দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে ধীরে ধীরে পুষ্টি সঞ্চার হয় এবং কৃশতাও দূর হয়। অপুষ্টিজনিত কৃশতায় শরীফা ফলের রস অনেক উপকারি।

👍খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহে
শরীফা ফল শরীরের ডিএনএ ও আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহ করে থাকে।৬.খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহে শরীফা ফল শরীরের ডিএনএ ও আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহ করে থাকে।

👍হৃৎপিণ্ডের রোগ প্রতিরোধে
শরীফা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

👍রোগ-প্রতিরোধে শরীফা ফলে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুরারোগ্য ব্যাধিকে তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়া শরীফা ফলের খাদ্য উপাদান এনিমিয়া প্রতিরোধ করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *