মোস্তফা নূর,(সীতাকুণ্ড টাইমস)
এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আর এমন একটি আদর্শের অনুসারী আমরা, যেখানে আসতে হলে নতুন আগন্তুকের কোনো বিশেষ যোগ্যতা লাগেনা। যে কেউ যে কোনো অবস্থায় যে কোনো সময় এখানে আসতে পারেন। সুবিধা নিতে পারেন। সুবিধা নেয়ার পরে আবার চলেও যেতে পারেন। এখানে থেকে যেতে চাইলে বা এই পথে চলা অব্যাহত রাখতে চাইলে আমাদের হাতে হাত রেখে টিকে থাকার শপথ নিতে পারেন। এখানে আসলে বা আশ্রয় নিলে চরম প্রতিপক্ষ ও নিরাপত্তা পায় সহজ নিয়মে। আশ্রয় গ্রহনকারী চরম অন্যায়কারী হলেও তার মানবিক অধিকার অটুট থাকে। আগন্তুক যদি এখানে এসে ক্ষণিক সময় বিশ্রাম নেন। সুবিধা নেন। আবার পেছনে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করতে চায় তাও সে পারে।
এখানে আসার জন্যে কাউকে খাঁটি মুসলিম হতে হয়না। এখানে জ্ঞানকে জ্ঞানের সাথে তুলনা করে ভাববার বিশাল সুযোগ আছে। যে কোনো ধর্মানুসারী অথবা অধার্মিকও এখানে আসায় এবং সুবিধা হাছিলের সমান সুবিধা পেয়ে থাকে। তার জাগ্রত বিবেক যদি তাকে মুসলিম করে দেয় তো ভালো। নইলে সেটা তারই ব্যাপার। আমাদের কিছুই করার থাকেনা। এখানে আমাদের হারাবার কিছুই নেই।
আমরা সেই মা’বুদের গোলাম যিনি বেশীরভাগ সময় দুষ্টদের হেফাজত নিরাপত্তার কথা ভাবেন। তার অবাধ্যরা যেনো বাধ্যগণের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না হন। তিনি তার সৃষ্টির কম ক্ষতির পক্ষে। তিনি যেহেতু কারো মুখাপেক্ষি নন যেহেতু তিনি কেবলমাত্র তার হুকুম মানার জন্যে উদগ্রীব নন। তিনি বরং উদগ্রীব বেশী থাকেন তাঁর সৃষ্টির কল্যাণ নিশ্চিত করণের জন্যে। সেই কল্যাণ যদি সময়ে সময়ে অবাধ্যরাও করতে পারে। তিনি তাতেই সন্তুষ্ট। তথাপিও তিনি চূড়ান্তরূপে সেরা জীবন মানুষকে শেষতক সঠিক চিন্তায় এভং সঠিক পথে ফিরে আসার প্রতীক্ষায় থাকেন। অবাধ্য অথবা বিভ্রান্তগণ যখনি তওবা করে বিবেকের পথে ফিরে আসেন কোনো বদ বা মন্দ লোক তখনি তিনি সন্তুষ্ট হন ক্ষমা করে দেন। আসা অবধি অপেক্ষা করেন। অবকাশ প্রাদন করেন। মানুষকে শাস্তি প্রদান করা তার মৌলিক উদ্দেশ্য নয়। তিনি কেবলি রাহমানুর রাহিম। পরম করুনাময় দয়ালু।