সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / কুমিরায় জুম চাষীদের বাগান নষ্ট করার প্রতিকার চেয়েছে ৩ শাতাধিক কৃষক

কুমিরায় জুম চাষীদের বাগান নষ্ট করার প্রতিকার চেয়েছে ৩ শাতাধিক কৃষক

নির্দেশ বড়ুয়া,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
সীতাকুণ্ডের কুমিরা পাহাড়ে অসহায় জুম চাষীদের ফল ও শাক-সবজির বাগান চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের অধীন কুমিরা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার কর্তৃক নষ্ট করার প্রতিবাদে প্রতিকার চেয়ে কুমিরা এলাকার ৩ শত কৃষক চট্টগ্রাম -৪ সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনের বরাবরে সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি প্রদান করেছেন। এছাড়া কৃষকরা সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি প্রদান করেছেন যথাক্রমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীতাকুণ্ড, সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ৭ নং কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষক লীগ। ২৭/০২/২০২৪ ইং মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কুমিরা ইউনিয়নের ৩ শত জন কৃষক উপস্থিত হন সীতাকুণ্ডের ৭ নং কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় তারা জুম চাষ করে পাহাড়ের ঢালে। এটাই তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অন্যতম মাধ্যম। গত পনেরো বছর পূর্বে সীতাকুণ্ডের মাটি ও মানুষের অবিসংবাদিত নেতা,যাকে সীতাকুণ্ডের ন্যালসন মেন্ডেলা বল্লে অত্যুক্তি হবে না। সেই পনের বছর পূর্বে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের অধীন সীতাকুণ্ডের কুমিরা রেঞ্জের তৎকালীন রেঞ্জার কর্তৃক জুম চাষে বাঁধা প্রাপ্ত হলে সীতাকুণ্ডের বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবুল কাসেম মাষ্টারের হস্তক্ষেপে তারা আবারও নিরাপদে ও শান্তিতে কুমিরা পাহাড়ে জুম চাষাবাদ করে আসছিলো কিন্তু আবারো এই গরিব হতদরিদ্র জুম চাষীদের জুম চাষাবাদের উপর আঘাত হেনে বসলো সদ্য কুমিরা রেঞ্জে যোগদান করা রেঞ্জার সাদেকুর রহমান।যা ৩ শত জুম চাষি এ প্রতিবেদককে অশ্রুশিক্ত নয়নে অভিযোগে জানান। এব্যাপারে কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোরশেদ হোসেন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, রেঞ্জার সাদেকুর রহমান সাহেবের সাথে এব্যাপারে আমার কথা হয়েছে । আমি বলেছি রেঞ্জারকে পাহাড়ে বনায়নও করতে হবে,বন বিভাগের লাগানো বনায়নের গাছ গাছালি রক্ষা করতে হবে এবং গরিব কৃষকদের পাহাড়ে জুম চাষ করে জীবন জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিতে হবে।তবে উভয় পক্ষে সমন্বয় সাধন করে। এব্যাপারে কুমিরা রেঞ্জের রেঞ্জার সাদেকুর রহমানকে ফোন দিয়ে বক্তব্য নিতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।পরে সরাসরি কুমিরা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে রেঞ্জ অফিসে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে কুমিরা পাহাড়ে জুম চাষের সাথে নিয়োজিত কৃষক আব্দুল হান্নান, আবুল মান্নান,আবু তাহের, আহমদ হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম প্রতিবেদককে জানান, কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুর, নিউ রাজাপুর, কোটপাড়া, আলেকদিয়া,পশ্চিম পাড়া, মোহাম্মদ পুর, লোহার পুল এলাকার ৩শত কৃষক কুমিরা পাহাড়ে জুম চাষের সাথে জড়িত। আমাদের জুম চাষের জমি থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকার ফলফলাদি ও শাকসবজি বাজারে এনে বিক্রি করি। একদিকে যেমন আমরা কৃষকরা লাভবান হচ্ছি ,তেমনি সরকার পাচ্ছে রাজস্ব। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, কুমিরা পাহাড়ে বনায়নের পাশাপাশি আমরা জুম চাষীদের নিরাপদে জুম চাষের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে কুমিরা রেঞ্জের রেঞ্জার যেনো কঠোর মনোভাব পরিহার করে নমনীয় হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *