কেন্দ্র দখল,ভোটারদের বাধা,মারধর ও অগ্নিসংযোগের মধ্যদিয়ে সীতাকুন্ডে অনেক প্রতিক্ষিত উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন ঃ সাংবাদিকসহ আহত ১০

কাইয়ুম চৌধুরী,১৫মার্চ(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর জনগনের অংশগ্রহনে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন ক্যাডাররা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল,ভোটারদের বাধা,মারধর , বাড়িঘর ভাংচুর,কারখানায় আগুন দিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভোটের শুরুতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামীগ সন্ত্রাসীরা বিরোধীরে উপর হামলা চালিয়ে শিবির নেতাসহ ১০জনকে পিটিয়ে আহত করে। ভোট গ্রহনের শুরুতেই বড়দারোগার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজির আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুনাছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,পন্থিছিলা হাই স্কুল,কেদারখীল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাষ্টার পাড়া ও মহনাগর কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীর কর্মীরা। বিভিন্ন অভিযোগ করার পর বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র থেকে সড়ে গেলেও কেন্দ্রে প্রবেশে গ্রাম্য রাস্তা গুলোর মধ্যে অবস্থান নেয়। ভোটাররা আরও জানায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাদের বুকে অস্ত্র ধরে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়। সকাল ১১টার পর সন্ত্রাসীরা ফেদায় নগর গ্রামে প্রবেশ করে বিএনপির সমর্থক মোঃ হাসানের মোমবাতি কারখানা ও পোল্ট্রিফার্মে আগুন ধরিয়ে দিলে এলাকা বাসী আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বাধা প্রদান করায় উক্ত কারখানা ও ফার্মটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা উক্ত এলাকার ইউপি স্বেচ্ছা সেবক দলের নাজিমের বাড়ি, গোলাম মাওলার বাড়ি ও মোজাম্মেলের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে এবং সেকান্দর মিয়া (৬০) কে পিটিয়ে আহত করে। বরৈয়াঢালা উজির আলী কেন্দ্রে প্রবাসী দিদারুল আলম চৌধুরী ভোট দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পুলিশ তাকে সীতাকুন্ড হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তাছাড়া দক্ষিণ বগাচতর কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সম্বন্নয়কারী সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ভুঁইকে মারধর করে। সীতাকুন্ডের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কাপপিরিচির লোকজন অন্যান্য প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর ভোটারদের বাধা প্রদান,হুমকী ধমকী দিয়েছে বলে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফা কামাল, বিএনপি সমর্থীত কাজি সালাউদ্দিন অভিযোগ করেন। এদিকে পৌরসভাস্থ দত্ত বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সোহাগ নামের এক ব্যাবসায় তার স্ত্রীসহ ভোট দিতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে।এদিকে কুমিরা হাই স্কুল কেন্দ্রে সকাল ৯টায় শিবির নেতা রবিউল হোসেনকে আওয়ামীলীগের কর্মীরা মারধর করে। বিএনপি সমর্থীত টেলিফোন,আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলিকাপ্টার, জামায়াত সমর্থক ঘোড়ার পক্ষ থেকে ২২টি কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ সমর্থক কাচপিরিচের লোকজন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান, এজন্টদেরকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ভোট গ্রহন বন্ধ করার দাবী জানালেও প্রশাসন কেন্দ্রগুলো বন্ধকরেনি। এছাড়া ছলিমপুর, ফকিরহাট ভোট কেন্দ্রে টেলিফোন প্রতীকের এক এজেন্টকে সকাল আটটায় কেন্দ্র থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখে এবং হেলিকাপ্টার এজেন্টকে বের করে দেয়। এব্যপারে টেলিফোন প্রতীকের সম্বন্নয়কারী কাজি মহিউদ্দিন ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফা কামাল কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখার লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে বিকাল ৩টায় স্থানীয় আওয়ামীলীঘ নেতা কমিশনার মামুনের নেতৃত্বে পন্থিছিলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় মাছরাঙ্গা টিভি চ্যানেলের ক্যামরাম্যান ছবি তুলতে চাইলে তাকে মারধর করে ও ক্যামরা ভাংচুর করে। এতে ২ জন সাংবাদিক আহত হয়। এদিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আশরাফুজ্জামান কেন্দ্রে বিভিন্ন অনিয়ম করার সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কয়েকজন পরিদর্শককে নাজেহাল করার চেষ্ঠা করে।