সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / জমজম কূপের অজানা তথ্য ঃঃ কাজি সাদেকুল ইসলাম

জমজম কূপের অজানা তথ্য ঃঃ কাজি সাদেকুল ইসলাম

সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ

২৪ জন ডুবুরি জম জম কূপের তলদেশে গিয়ে নিয়ে এলেন অজানা তথ্য!!

আল্লাহ পাকের কুদরত দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা !

ষাটের দশকের কথা। তখন ছিল বাদশাহ্ খালেদের
শাসনামল। ওই সময় আধুনিক যন্ত্রপাতির দিয়ে পরিষ্কার কারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল জম জম কূপটি।

জম জম কূপটি পরিষ্কারের কাজ তত্বাবধান করেন প্রকৌশলী “ইয়াহইয়া কোশক”

তার প্রদত্ত বিবরণ থেকে বলা যায়, বড় ধরনের কয়েকটি পাথরের তলদেশ থেকে প্রবল বেগে পানি উৎসারিত হচ্ছে। সবচাইতে বড় পাথরের উপর স্পষ্ট আরবী হরফে “বিসমিল্লাহ্” কথাটি উৎকলিত রয়েছে।

প্রিয় রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামার এর দাদা হযরত আবদুল মুত্তালিব-এর সময় কূপের গভীরতা ছিল মাত্র ১৪ ফুট। খলিফা মামুনুর রশীদের আমলে পুনরায় খনন করা হয় এই জম জম কূপ।

এ সময় পানির নিঃসরণ খুব বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি কূপের বাইরে পানি উপচে পড়া শুরু করেছিল। দীর্ঘ
কয়েক শতাব্দী পর সৌদি সরকার আধুনিক মেশিনের
সাহায্যে কূপ পুনঃখনন করেন।

২৪ জন ডুবুরি কূপের তলদেশে গিয়েছিলেন তা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার জন্য।
ডুবুরিরা দেখেন, সেখানে রং-বেরংয়ের মাটির স্তর জমাট বেঁধে আছে।আর অবিরাম নির্গত পানিকে পরিশোধন করছে। তারা আল্লাহর এ কুদরত দেখে বিস্মিত হয়ে যান!

বর্তমানে জম জম কূপের গভীরতা ৫১ ফুট।

এক নজরে জম জম কূপঃ

▪️আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে মালাইকা সর্দার হযরত জিব্রাঈল আমিন আলাইহিসসালাম এর মাধ্যমে জম জম কুপ খনন হয়েছিল। এবং পানি আটকাতে গিয়ে জম জম (থাম থাম) শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন।
▪️ভারী পানি উত্তোলনের মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০
লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির
সূচনাকালের ন্যায়।
▪️পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক
বা শৈবাল।
▪️সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই
আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
▪️এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক’য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
▪️সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।
▪️এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে। সাহাবি হযরত আবু জর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার এক মাস যাবত হারাম শরীফের মধ্যেই অন্তরীন ছিলেন।পুরো মাস উনার একমাত্র খাবার ছিল জম জম।
▪️এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারণে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।
▪️এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
* এই পানিতে শেফা আছে।

সুবহানআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *