সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / নিরীহ মহিলাকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে গিয়ে রাজনীতির শিকার,অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

নিরীহ মহিলাকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে গিয়ে রাজনীতির শিকার,অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ঃ
স্বামী ও পুত্র হারা ষাটউর্দ্ধো নিরীহ এক মহিলা তাঁর আপন ভাইঝিদের নির্যাতন থেকে বাঁচানোর পর রাজনীতির প্রতিপক্ষের শিকার হয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি। গত বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার সলিমপুর মহিলা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসিদের সাথে নিয়ে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। কান্নায় আবেগ জনিত কণ্ঠে তিনি বলেন,“সম্প্রতি সলিমপুর ইউনিয়নে আমার পাশবত্বী এলাকায় ষাটউর্দ্ধো বিদ্ধা শায়রা বেগম নামে স্বামী ও পুত্রহারা নিরীহ এক মহিলা তার আপন ভাইঝিরা শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। আমি খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার আলমাছ খাতুনকে সাথে নিয়ে বৃদ্ধ মহিলা নির্যাতনের প্রতিবাদ করি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করি। কিন্তু আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দূস্কৃতিচক্র বিষয়টি জানার পর পরিকল্পিতভাবে নিরীহ মহিলাকে নির্যাতনকারি সাদিয়া,মুন্নীকে দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করার জন্য আমার পিছনে লাগিয়ে দেয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে এই সাদিয়ারা আমার বিরুদ্ধে বেপরোয়া হয়ে মানহানির ঘটনা ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত। একজন নিরীহ মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে যদি আমি এভাবে লাঞ্চনার ও মানহানির শিকার হই,তাহলে ভবিষ্যতে কোন জনপ্রতিনিধি অসহায় কারোর কোন উপকার করতে চিন্তা করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আশা মহিলাদের উপস্থিতিতে নির্যাতনের শিকার শায়েরা বেগম বলেন,“সাদিয়া ও মুন্নি খুবই খারাপ প্রকৃতির মেয়ে। লোকজনের বাসায় কাজ করে জমানো টাকা ও জায়গা সম্পত্তি এরা নিয়ে ফেরতে চায়। আমার চুলের মুঠি ধরে আমাকে নির্যাতন করে। আমাদের মহিলা চেয়ারম্যান বাঁচাতে গেলে,উনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে তারা।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলমাছ খাতুন,৯নং ভাটিয়ারি ইউপি সদস্য যথাক্রমে মনোয়ারা যুবাইদা,ফরিদা ইয়াসমিন,নয়ন মনি,ও নির্যাতনকারি মহিলা শায়েরা বেগমসহ স্থানীয় শতাধিক মহিলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *