নিজস্ব প্রতিবেদক,৯ডিসেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস)-
বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে সীতাকুন্ডে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত “বন্ধ হয়ে যাবে কি জয়িতাদের পথ চলা” এরকম অন্তরঙ্গ সংলাপে উঠে আসে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও নির্যাতিক নারীদের নানা কথা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় বক্তারা নারী এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের মান মানষিকতার পরিবর্তন করার আহবান জানিয়ে বলেন, তা না হলে নারীরা প্রতিবন্ধকতার শিকার হবে প্রতিনিয়ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ শাহিন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ছাবেরী, সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা জরিনা আক্তার, শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানের পূর্বে এ দিবস উপলক্ষে একটি র্যালি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিণ করে উপজেলা সদরে এসে শেষ হয়।
সম্মাননা পাওয়া সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী নুর নাহার বেগম। স্বামী স্ত্রী উভয় কৃষক কৃষাণী। তিনি এখন নারী জয়িতা। শুনালেন সফলতার কথা।
নুর নাহার বেগম বলেন, তিনি ও তার স্বামী লেখা পড়া জানতেন না। কিন্তু দৃড় মনোবল ছিলো নারীদের শক্ত হাতে দাঁড়াতে হবে । বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ জমিতে চাষ করতেন ফসলের। ছেলে মেয়েদের অতিকষ্টে লেখাপড়া করিয়ে প্রতিষ্টিত করেছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তার ৫ছেলের মধ্যে প্রথম ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজের সহযোগি অধ্যাপক, দ্বিতীয় ছেলে বুয়েটে লেখা পড়া করে মাইক্রো সফ্ট ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছে। তৃতীয় ছেলে চট্টগ্রামে ক্লিপটন গ্রুপের একটি গার্মেন্সর জিএম, চতুর্থ ছেলে পেট্টোবাংলার উর্ধতন কর্মকর্তা ও পঞ্চম ছেলে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখার ব্যবস্থাপক। এ রকম আরো চার নারী শুনালেন তাদের সফলতার কথা। অনেকের মূখে উঠে এসেছে স্বামী পরিবার ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্যাতন হয়েও এগিয়ে চলার কাহিনী। আবার অনেকে শুনিয়েছেন অর্থনীতিক ভাবে স্বাভলম্বী হওয়া কথাও। আর সমাজে প্রতিষ্ঠিত নারী জয়িতা মুরাদপুরের ছখিনা বেগম, সৈয়দপুরে রীনা আক্তার, বাঁশবাড়িয়ার নুর নাহার বেগম, সোনাইছড়ির অনন্ত রাণী, বাড়বকুণ্ডের ইয়াছমিন আক্তার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয় সন্মাননা পদক ও সনদ।