সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / ভাটিয়ারীতে মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ ঃ সংঘর্ষের আশংকা

ভাটিয়ারীতে মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ ঃ সংঘর্ষের আশংকা

CIMG0748(1)এন রায়, ২৫মে (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের নামে জায়গা দানপত্র মূলে রেজিষ্ট্রি না করে ট্রাস্টনামা দলিল তৈরি করে রেজিষ্ট্রি করায় সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী পূর্ব দাশ পাড়ায় দুই পক্ষের বিরোধ চরমে। যেকোন সময় সংঘর্ষের আশংকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে পূর্ব দাশ পাড়ায় বিগত ৩০ বছর ধরে মহোৎসব, দূর্গাপূজা সহ ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে আসছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। পূজা অর্চনা, মহোৎসব সহ এই সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি উদ্যাপন করার নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় পাড়ায় সময়ে সময়ে সুবিধাজনক স্থান গুলিতে দীর্ঘদিন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিগত ৫ বছর আগে স্থানীয় রাজেন্দ্র সাহা, পিতা- মৃত জয় গোবিন্দ সাহা উৎসব উদ্যাপন কমিটিকে মন্দিরের জন্য ০৪ শতক জায়গা দান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি কমিটিকে দানের প্রস্তাবিত জায়গাটিতে (আর.এস দাগ নং- ২০২২ ও বি.এস দাগ ১৩৫০) সার্বজনীনভাবে মন্দির নির্মানের কাজ শুরু করতে বলেন। কমিটি রাজেন্দ্র সাহাকে আগেই প্রস্তাবিত জায়গাটি মন্দিরের নাম দান করতে বললে তিনি জানান অসুবিধা নেই আপনারা মন্দিরের কাজ শুরু করুন, আমি যেকোন সময় জায়গাটি রেজিষ্ট্রি করে দিব। তার ঐ আশ্ব^াসে সবার কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রায় ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে কমিটি মন্দির নির্মাণ করেন। কিন্তু গত ২৪/০৩/২০১৪ইং তারিখে রাজেন্দ্র সাহা নিজের কাছে পাওয়ার রেখে দিয়ে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের নামে একটি ট্রাস্ট নামা দলিল সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে কমিটি ঐ দলিলে আপত্তি জানিয়ে বলেন এটি কোন সত্যিকারের দানপত্র নয়। তারপর থেকে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ উত্তেজনা। মন্দির নির্মাণ ও উৎসব উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদন রতন দাশ জানান তারা এই দলিল মানেন না। সার্বজনীন মন্দিরের নামে পূনঃরায় দানপত্র দলিল রেজিষ্ট্রির দাবী জানান তিনি। অন্যথায় দাতা এলাকাবাসীকে মন্দির নির্মাণের সকল টাকা ফেরত দিতে হবে। রাজেন্দ্র সাহা বলেন, আমি যদি অনেক দামি জায়গা দিতে পারি তাহলে আমার কর্তৃত্ত থাকবে না কেন। স্থানীয়রা জানান, সমাজকে বিভক্ত করার জন্য দু’একজন ইস্কন কর্মীর ইন্দনে দাতা রাজেন্দ্র বাবু এই কাজটি করে জটিলতা তৈরি করেছেন। আর তাতে পাড়ায় শান্তি বিনিষ্ট করছে। এ নিয়ে দফায় দফায় শালিশ বৈঠকের পরও দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন দাতা রাজেন্দ্র বাবু স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যে অভিনন্দন ব্যানার ছাপিয়ে টাঙ্গিয়েছেন। যা এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান কোন ধরনের অবগত ছিলেন না। কমিটির সভাপতি দিপেন সাহা (দাতার বড় ছেলে) বলেন, ট্রাস্ট নামা দলিলে সামান্য কথা বাদ পড়েছে। এটি সংশোধন করে দিলেই তা সার্বজনীন ভাবে মনোপ্রোত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *