সংবাদ শিরোনাম
Home / উপজেলা সংবাদ / ভাটিয়ারীতে সামাজিক বনায়নের ৭০ হাজার চারা গাছ পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ভাটিয়ারীতে সামাজিক বনায়নের ৭০ হাজার চারা গাছ পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

P1000620জেড এ আকাশ, ৩০ এপ্রিল (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা রেঞ্জের শীতলপুর বিটের আওতাধীন ভাটিয়ারী তারাবাইনা ও আমের ঘোনা এলাকায় বনবিভাগের প্রায় ১৪ হেক্টর বাগানের ৭০ হাজার চারাগাছ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ২৪শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শীতলপুর বিট এলাকায় ২০০৯-১০ সালের সামাজিক বনায়নের লক্ষে ৮০ হেক্টর বা ২০০ একর জায়গায় ২০০ জন উপকার ভোগী সামাজিক বনায়ন করে। গত পাঁচ বছরে আকাশ মনি, গামারি, হরীতকী, বহেরা, আমলকী, অর্জুন, কড়ই, চিকরাশি ও শিমুল গাছের বাগান গুলি উপকার ভোগীরা রীতিমত পরিচর্যা করে আসছিল। আগুনে উপকার ভোগীদের গাছ জ্বালিয়ে দেয়ায় প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমিরা বিটের রেঞ্জার মোজ্জামেল হোসেন ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে কুমিরা রেঞ্জের শীতলপুর বিট কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদ্দস মিয়া বাদী হয়ে গত ২৫ এপ্রিল সীতাকুন্ড থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন। জিডি নং- ১৩১০। বাদী জিডিতে উল্লেখ করেছেন কে বা কাহারা বাগানে আগুন দিয়েছে তা জানা সম্ভবপর হয়নি। তবে আসামীদের নাম ও ঠিকানা উদঘাটনের জন্য অনুসন্ধান কায্য অব্যাহত রয়েছে। ৮০ হেক্টর বাগানের মধ্যে ১৪ হেক্টর এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনের ১ হেক্টর বাগানের চারাগাছ সম্পূর্ণ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

অপরদিকে উপকার ভোগী মোঃ মাসুদ, মোঃ বদরুজ্জমা ও আখেরুজ্জমা জানান, ঘটনার দিন তারা বাগান পরিস্কারের কাজ করতে গেলে তখন ফতেপুর নিবাসী জনকৈ জাফর , মুরশেদ ও আরো কয়েকজনকে তারা আগুন দিতে দেখে। পরে তারা সাথে সাথে শীতলপুর বিট কর্মকর্তা মোঃ কুদ্দুসকে খরব দেয়। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা তার সহকারী ও উপকার ভোগীদের নিয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আগুন নিভারনোর চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে বাগানে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৬০/৭০ একর বাগান অধিকাংশ চারাগাছ আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় উপকার ভোগীদের ও সরকারের আনুমানিক ৬০/৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবং আরো কয়েকজন উপকার ভোগী বলেন, দুর্বৃত্তকারীদের বিরুদ্ধে এর আগেও বাগানে গাছ কাটা ও আগুন দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ফতেপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়ে ও শেষ পর্যন্ত এবারও বাগানগুলি রক্ষা করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *