মিরসরাই প্রতিনিধি,২৩ ফেব্রুয়ারি (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে তিন লাখ ৪২ হাজার ৮৬০টি আর অবৈধ ভোট বা নষ্ট ভোট পড়েছে ৪৭ হাজার ২২৯টি । এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে অবৈধ ভোট পড়েছে সাত হাজার ২৬টি, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ হাজার ৯২৪টি, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৯ হাজার ২৭৯টি।
ব্যালট পেপারে একধিক প্রতীক থাকার ফলে অনেক ভোট অবৈধ বা বাতিল হয়েছে বলে দাবি করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেলিকপ্টার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান বলেন, প্রার্থীদের বাইরে ব্যালট পেপারে একাধিক প্রতীক রাখা নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি। আমরা মনোনয়ন সংগ্রহ করার সময় আমাদের নামে এবং বরাদ্দকৃত প্রতীকে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য টাকা দিয়েছি কিন্তু নির্বাচন কমিশন মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর বাইরে ব্যালট পেপারে ১০-১৫টি প্রতীক দিয়েছে। ফলে ভোটাররা সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। চেয়ারম্যান পদের জন্য ব্যালট পেপারে হেলিকপ্টার দেয়া আছে আবার ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদের জন্য ব্যালট পেপারে উড়োজাহাজ দেয়া আছে। ফলে বেশির ভাগ ভোটার হেলিকপ্টারে ভোট না দিয়ে উড়োজাহাজে ভোট দিয়েছেন।
একই ব্যালট পেপারে দুই রকম প্রতীক থাকার ফলে ভোটাররা সঠিক প্রতীকে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বই প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মিরসরাইয়ে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। কিন্তু ব্যালট পেপারে প্রতীক ছিল তিনের অধিক। আমার প্রতীক ছিল বই, ব্যালট পেপারে বই প্রতীকের ওপরে ছিল টাইপরাইটার। অথচ মিরসরাইয়ে টাইপরাইটার প্রতীকে কোনো প্রার্থী ছিল না। বেশির ভাগ ভোটার টাইপরাইটার মিশিনকে বই ভেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ফলে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ছিয়াশি হাজার ৪৭টি ভোট আর অবৈধ ভোট পড়েছে বিশ হাজার নয় শত ২৪টি ভোট। নির্বাচন কমিশন যদি ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীকের বাইরে অন্য কোনো প্রতীক না রাখত তাহলে আমার এতগুলো ভোট নষ্ট হতো না। আমি এ অবৈধ ভোটগুলোকে আমাকে দিয়ে দেয়ার জন্য এবং ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের বাইরে কেন প্রতীক রাখা হয়েছে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ আশরাফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।