সীতাকুণ্ড টাইমস প্রতিবেদকঃ
সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯ নং শিবপুর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কবি ও সাংবাদিক আতাউল হাকিম আরিফ, প্রসঙ্গত তিনি জানান নিজ এলাকা শিবপুরের প্রত্যাশিত উন্নয়নে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে কাজ করে যেতে চান, তিনি মনে করেন দরিদ্রপীড়িত মানুষগুলো সরকারের নানাবিধ সেফটিনেট কর্মসূচি /সেবা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে যুব সমাজের বড় একটি হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকাসক্ত ও দুর্বৃত্তায়নে জড়িত হয়ে পড়ছে, তাঁদেরকে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কে সামনে রেখে কাজ করে যাওয়ায় তাঁর উদ্দেশ্য।
সৎ ও আদর্শিক ধারায় যারা রাজনীতি করছেন আতাউল হাকিম আরিফ তাঁদেরই একজন। অনেকটা পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই আওয়ামী চেতনায় বেড়ে উঠেন, স্কুল জীবনে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ,শাপলা কুঁড়ির আসরের সাথে সক্রিয় ছিলেন পরবর্তীতে শাপলা কুঁড়ির আসরের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। স্কুল জীবনেই তিনি অগ্রজ ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন ফলশ্রুতিতে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালে সীতাকুণ্ড সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির পদ লাভ করেন,পরবর্তীতে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক, সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, সীতাকুণ্ড পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি, হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, ভোটের অধিকার আদায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে অসহযোগ আন্দোলন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সীতাকুণ্ডের ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ১৯৯৮-২০০৩ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিষদের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভা যুবলীগের সহ সভাপতি এবং ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে তাঁর ব্যাপক কর্মকাণ্ড রয়েছে। তিনি একাধারে স্বপ্নীল চাইল্ড ফাউণ্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, জিয়ানুর ফাউণ্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য, নিজ এলাকা শিবপুর রুহুল আমীন স্মৃতি সংসদ ‘র সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক বহমান বাংলা ‘র সম্পাদক (রেজিঃ চ-২১২)। সাপ্তাহিক চলমান সীতাকুণ্ডের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংরেজি জার্নাল ” ফোকাস বাংলাদেশ ” সম্পাদনার পাশাপাশি লিটন ম্যাগাজিন পোড়াশব্দ ‘র উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, “দিশারী “নামক একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। ছাত্র জীবনে ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশকিছু সাহিত্য,সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কবিতা,প্রবন্ধ,গল্প লিখছেন যা বিভিন্ন পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর ৩ টি একক কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বেশ কটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তিনি চন্দ্রমণি সাহিত্য পদক ২০১৯ এবং নীলপদ্ম সাহিত্য সম্মাননা পদক-২০২০ ভূষিত হন।
নির্বাচন আসা প্রসঙ্গে তিনি জানান অসাম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে এসেছেন, আমৃত্যু আওয়ামী চেতনাকে ধারণ করে কাজ করে যেতে চান, তিনি আরো বলেন দলের দুঃসময়ে তিনি মাঠে ছিলেন ভবিষ্যতেও দল তাঁর কাজ থেকে সর্বোচ্চ পাবে। যদিও বর্তমানে সুবিধাভোগীদের দৌরাত্ম্যে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন! এই অবস্থা থেকে শ্রীঘ্রিই বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে জানান। তিনি বিশ্বাস করেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের নের্তৃত্ব অত্যন্ত সৎ ও আদর্শিক মনোভাবাপন্ন, তারা নিশ্চয়ই তাঁর রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউণ্ড বিবেচনায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবেন।