সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / শৈশবের শীত ও কিছু স্মৃতি

শৈশবের শীত ও কিছু স্মৃতি

এম কে মনির,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
শৈশবের শীতকালের কথা আজও মনে পড়ে।তখনকার দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে সোজা চলে যেতাম চুলোর কাছে। নানি যতদিন বেঁচে ছিলো ততদিন শীত এলে নানি আমাদের বাড়িতে আসতো।নাতি-নাতনিকে বাড়তি যত্ন নিতে ও পিঠাপুলি বানিয়ে খাওয়াতেই আসতেন তিনি।আসার সময় সঙ্গে চালের গুড়োসহ যাবতীয় উপকরণ নিয়ে আসতো। তখনকার দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে সোজা চলে যেতাম চুলোর কাছে। নানি আগে থেকেই পিঠা বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকত।নানির সাথে পিঠার ছাঁচে চালের গুডো তুলে দিতেন আম্মা।গিয়েই বসে পড়তাম নানির পাশে।তখন সে কি ঠাণ্ডা!! হাত দুটো একেবারে বরফ হয়ে থাকত।তখন আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে একজন আরেকজনের গালে হাত লাগিয়ে ঠান্ডা লাগিয়ে দেওয়ার একটা দুস্টুমির রেওয়াজ ছিলো।চুলোর পাশেই হাতে তৈরি বেতের বড় ঢালাতে মাটির তৈরি ছোট ছোট ভুঙ্গিতে সাজানো থাকতো চালের গুড়ো, কোরা নারকেল,খেজুরের গুড়।পিঠা হওয়ার আগেই কোরা নারকেল মুখে দেওয়ার বদঅভ্যাসটা ছিল ভাইবোন সকলেরই।এজন্য আম্মার বকুনি খেতাম।ততক্ষণে পিঠা হয়ে আসার সময় হয়ে যেত।গরম গরম পিঠা কার আগে কে নিবো সেই জন্য ভাইবোনে ঝকড়া বেঁধে যেতাম। দাদা আগেই গাছিদের কাছ থেকে রস নিয়ে রাখত।সেই রস দিয়ে নানির হাতের বানানো ভাপা পিঠা খেতাম মজা করে। দাদা ও নানি বেয়াই সম্পর্কের মসকরা করতেন।

সত্যি সেইদিনগুলো কতই না মধুর ছিলো।আজ নানি বেঁচে নেই,নেই দাদুও।তাই এখন আর রস দিয়ে ভাপা পিঠা খাওয়া হয়না।হয়না ভাইবোনের ঝগড়াগুলোও।যেন কোথায় হারিয়ে গেছে সব।আজও শৈশবের সেই আনন্দঘন দিনগুলির কথা ভাবলে আবেগে গা ভাসাই। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *