সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চাই সাংবাদিক ইউসুফ

সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চাই সাংবাদিক ইউসুফ

দিদার হোসেন টুটুল,সীতাকুণ্ড টাইমস ঃ
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে পৌর মেয়র প্রার্থী বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ স্হানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
বৃহস্পতিবার ২৪/০৯/২০২০ইং রাত সাড়ে ৭টায় পৌরসদরস্হ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে মত বিনিময়ে পৌর প্রার্থী মোঃ ইউসুফ তার বক্তৃতায় বলেন,মুক্তিযুদ্ধার সন্তান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে আমি আওয়ামীলীগ থেকে পৌরনির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব।
তিনির আরও বলেন
সীতাকুণ্ড পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও পৌরবাসীর কাক্ষিত আশা পূরণ হয়নি।পৌরসদরে সুন্দর একটি বাজার থাকলেও বাজারের সৌন্দর্য ফুটে উঠেনি।কারণ বর্তমান কাঁচা বাজারটি বহুতল ভবন হতো, তাহলে ক্রেতারা সাচ্ছন্দ্য কেনাকাটা করতে পারতো। আমি যদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাই, তাহলে পৌরসদররের কাঁচা বাজারকে বহুতল ভবন নির্মাণ করে সৌন্দর্য গড়ে তুলবো। রেলওয়ের ডেবার পাড়কে সুন্দর একটি বিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে তুলবো।এছাড়া নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ২১টি সমস্যা পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়ন করবো। মতবিনিময় সভায় উপস্হিত ছিলেন, সীতাকুণ্ডের সন্তান দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহসম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক,রোটারিয়ান মনোরঞ্জন রায়,জেলা সাবেক কানুনগো মছিদ্দৌলা,আর আর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস্কান্দর হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ দিদারুল আলম প্রমূখ।

আজ সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সীতাকুণ্ড পৌরসভার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি লিখিত বক্তব্যপাঠ করেন।

আমি কেন মেয়র হতে চাই

সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আজকের এ মহতি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন পোর্টালে কর্মরত সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, অতিমারি করোনাকলীন এ কঠিনসময়ে এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্যে আন্তরিকভাবে আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে যাদের সর্বাত্মক আন্তরিক সহযোগিতায় আজকের এ আয়োজন। আমি কেন আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হতে আগ্রহী- তা সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সম্মানিত পৌরবাসীকে জানাতে এখানে হাজির হয়েছি।
স্নেহাস্পদ সাংবাদিকবৃন্দ
আপনারা জানেন, ভৌগলিক দিক থেকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার রয়েছে অনন্যসাধারণ আলাদা বৈশিষ্ট্য। এটি উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর ও প্রধানশহর।শিল্পাঞ্চল সীতকুণ্ড উপজেলাসদরে এ পৌরসভার অবস্থান। সাবেক ৩নম্বর সীতাকুণ্ড সদর ইউনিয়নকে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। ২২বছর বয়সী এ পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। হিন্দুসম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থানের কারণে এ উপমহাদেশে বিশেষকরে ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাজুড়ে রয়েছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বিশেষ সুপরিচিতি। জাতীয় অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক ও রেলসড়ক এ পৌরসদরের বুক চিরে বিদ্যমান। ফলে রাজধানী ঢাকা আর ‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ বন্দরশহর চট্টগ্রামের সাথে সীতাকুণ্ড পৌরসভার যোগসূত্র খুবই মসৃণ ও চমৎকার। এ পৌরশহরের আকাশছোঁয়া পাহাড়শীর্ষে ওঠলেই দেখা যায়, পশ্চিম গোলার্ধের নয়নজুড়ানো সেই সাগরকন্যা সন্দ্বীপ-চ্যানেলের নয়নাভিরাম জলরাশি ও উপকূলীয় বনাঞ্চলের নজরকাড়া সবুজের মিতালী। অসাম্প্রদায়িকতার এক অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ সীতাকুণ্ড। মসজিদ-মাদ্রাসা, মঠমন্দির, পূজা আর মেলা ও বৌদ্ধবিহারের শহর এ সীতাকুণ্ড। সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতির হাতেগড়া এ সীতাকুণ্ডের অপার সম্ভাবনা থাকলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের অভাবে প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নাগরিকেরা তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার সুবিধাও ভোগ করতে পারছেন না। কালক্রমে রূপসী সীতাকুণ্ড মলিন ও হতশ্রী হয়ে যাচ্ছে।সার্বিকভাবে পৌরসভার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন যা হয়েছে, হচ্ছে তা গতানুগতিক; বিশেষ কোনো উন্নয়ন পৌরবাসীর ভাগ্যে জোটছে না।
২৮.৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরশহর বর্ষাকালে গ্রামের রূপ ধারণ করে। সীতাকুণ্ডের চৌধুরীপাড়া, মৌলভীপাড়া,শেখপাড়া, শিবপুর, ইদিলপুর, নামারবাজারসহ অন্যান্য নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। বাড়িঘর ও বাসাবড়িতে পানি ঢুকে ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়। জলাবদ্ধতার গজব থেকে পৌরবাসীর মুক্তির কোনো আলামত নেই। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্থবিরতা দীর্ঘসময়ের। ভালো খেলার মাঠ নেই, নেই চিত্তবিনোদনের সুযোগ। সুপেয় পানীয়জলের তীব্রসঙ্কট তো আছেই। গড়ে ওঠেনি আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা। কসাইখানা না থাকায় যত্রতত্র গরুছাগল জবাইয়ের কারণে দুর্গন্ধময় পরিবেশ পৌরবাসীর নিত্যসঙ্গী। বিশেষকরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শেখপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জবাইকৃত পশুর পচা নাড়িভুঁড়ি হতে বছরের পর বছর বাতাসে ছড়ানো দুর্গন্ধের ছোঁবল থেকে যানবাহনের যাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছেনা- যা পৌরবাসীর জন্যে লজ্জার ব্যাপার।যুবসমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। মদ-গাঁজা ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে ওঠতিবয়সী তরুণেরা। তুচ্ছ বিষয়কে ঘিরে ঘটছে খুনখারাবির ঘটনা। সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট হতে চলেছে।সুবিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পৌরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ লেগেই আছে। গণপরিবহণে কোনো শৃঙ্খলা নেই। দূরপাল্লার গাড়িগুলোর দাঁড়ানোর সুনির্দিষ্ট জায়গা নেই, নেই কোনো যানবাহনের স্টপেজ। মহাসড়কের (বাইপাস রোড)পূবপাশে অবৈধভাবে গড়েওঠা দূরপাল্পার বাসকাউন্টারগুলোর সামনে কোনো ফ্লাইওভারব্রিজ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।
পৌরসদরের ঐতিহ্যবাহী মহান্তেরহাট কাঁচাবাজারের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর বোমারু বিমানের গোলাবর্ষণে বাজারের ২০জন ক্রেতা-বিক্রেতা শহীদ ও অনেকেই আহত হন। দেশ স্বাধীনের ৫০বছর অতিবাহিত হতে চললেও এ বাজারের উন্নয়ন হয়নি। সীতাকুণ্ড পৌরসভাছাড়াও উত্তর-সীতাকুণ্ডের ৪ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ পাশের উপজেলা মীরসরাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন এ বাজারে কেনাকাটা করে। রীতিমতো রণপ্রস্তুতি নিয়ে এ কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে হয়। হবে হচ্ছে করে এখানে একটি বহুতলভবনবিশিষ্ট কাঁচাবাজার গড়ে ওঠছে না। পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি; কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। আমি দৈনিক পূর্বকোণের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি থাকাকালে ১৯৯৮ সালে সীতাকুণ্ডের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে “সীতাকুণ্ড স্পেশাল” নামে পূর্বকোণ-এ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছিলো।
এদিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার সরকারি-বেসরকারি জলাশয়গুলোর অবস্থা বড়ই নাজুক। সীতাকুণ্ড বাজারের দোকানপাট ও বাসাবাড়ির বর্জ্য ও মলমূত্র একাকার হয়ে পৌরসদরের জলাশয়গুলো বছরের পর বছর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে থাকলেও এর কোনো প্রতিকার নেই। বিশেষকরে পৌরসভা কার্যালয়ের গা-ঘেঁষে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পুকুর, সীতাকুণ্ড মডেল থানা ও সীতাকুণ্ড বালিকা স্কুল এন্ড কলেজসংলগ্ন পুকুরটি ময়লার ডিপোতে পরিণত হয়ে আশপাশের পরিবেশ দূষণ করলেও এ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করে না। বাজারবার দিন(মঙ্গল ও শুক্রবার) সীতাকুণ্ড থানা রোডটি শাকসবজি, হাঁসমুরগি ও ছাগলবিক্রেতাদের দখলে চলে যায়। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও লোকজনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরবভূমিকা পালন করছে।এ জনভোগান্তি নিরসনে জনপ্রতিনিধিদের কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় না। তুলনামূলকভাবে বেশি নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্যে পৌরসভা গঠিত হলেও সুবিধাপ্রাপ্তিতে গরমিল পিছু ছাড়ছে না পৌরবাসীর। রাস্তাঘাটের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নেই। পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন সংযোগ সড়কটির বেহাল অবস্থা দেখে পথচারিরা প্রতিনিয়ত খারাপ ভাষা ব্যবহার করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সীতাকুণ্ড পৌরসভার পরিষেবা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ-দুঃখ থাকলেও এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ না করে ‘হজম’ করে যাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।

মেয়র হয়ে আমি যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ

১. সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্যে রূপওয়ে (রজ্জুপথ) পদ্ধতি চালুর পাশাপাশি ইকোট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা হবে। খোলে যাবে এখানে বিশাল অর্থনীতির দরজা । শুধু সীতাকুণ্ড পৌরসভা নয়, চন্দ্রনাথধামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও আমাদের জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। বেকার যুবকদের ব্যাপক কর্মস্থান হবে। অগণিত তীর্থযাত্রী আর পর্যটকদের আনাগোনায় সীতাকুণ্ড পৌরশহর হবে আন্তর্জাতিক মিলনমেলা ও স্বপ্নপুরি।
২. সীতাকুণ্ড পৌরসভাসদরে ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলা হবে।
৩. পৌরসভার সকল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। পৌরসভার দাপ্তরিক কাজে ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু করা হবে।
৪. শুধু ট্রেডলাইসেন্স আর সালিসকেন্দ্র নয়, সীতাকুণ্ড পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত করে পৌরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রাণকেন্দ্র করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
৫. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন নিচের খেলারমাঠে আন্তর্জাতিকমানের সুরম্য দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম ও সুবিধাজনকস্থানে থিয়েটার ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে।
৬. তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্যে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।
৭. দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে মানবতার মা, বাংলার জনগণের সকল আশা-ভরসার বিশ্বস্ত অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিকমানের যে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক উদ্বোধন করেছিলেন সেটি দীর্ঘসময় ধরে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে; প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না জনগণ। এ ইকোপার্কসহ চন্দ্রনাথধামের মঠমন্দিরে আসা পূণ্যার্থী নরনারী ও পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
৮. পৌরসভার যোগাযোগাব্যবস্থা বিশেষকরে রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৯. শিশুকিশোর ও সকল বয়সীদের চিত্তবিনোদনের জন্যে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে কিংবা রেলওয়ে ডেবাকে ঘিরে চিত্তবিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
১০. পাশ্ববর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের বসরতনগরে অপরিকল্পিভাবে গড়ে ওঠা রাবার ড্যাম সীতাকুণ্ড পৌরসভায় জলবদ্ধতার অন্যতম কারণ। এলাকাবাসীর দুঃখ এ রাবার ড্যাম ভেঙ্গে এখানে অত্যাধুনিক স্লুইগেট নির্মাণ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে। খাল-ছরা নালা-নর্দমার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।
১১. গৃহস্থলীর বর্জ্অপসারণ, প্রয়োজনীয়সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ময়লা-আবর্জনার জন্যে যুগোপযোগী আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।
১২. সীতাকুণ্ড মহান্তেরহাট বাজারে অত্যাধুনিক বহুতলভবনের কাঁচাবাজার স্থাপন করা হবে। গণপরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৩. সীতাকুণ্ড পৌরসভার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল শিক্ষাকার্যক্রম চালু ও নিয়মিত নজরদারি এবং শিক্ষাবান্ধব আবেষ্টনী তৈরিতে অবদান রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
১৪. পৌরসভার হাটবাজার ইজারার ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করা হবে।
১৫. প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যে আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
১৬.সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েশিক্ষার্থীদের ইভটিজিং বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭. পৌরসভার ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়েওঠার অনূকূল পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত, মানবিক এবং বিশ্বমানের পৌরসভা বিনির্মাণে যা যা করা দরকার- তার সবকিছুই করা হবে।
১৮. সীতাকুণ্ড পৌরএলাকায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কার্যালয় রয়েছে। সরকারি যেকোনো সেবা পেতে পৌরবাসী যাতে কোনোরকম হয়রানির স্বীকার না হয়- সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে।
১৯. বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীরদের জন্যে সীতাকুণ্ডে একটি ডায়াবেটিক সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
২০. পৌরসভার সকল শিশু-কিশোর সংগঠনের কার্যক্রম বেগবান করতে সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা প্রদান করা হবে।
২১. প্রতিবছর পৌরসভার উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থী, সফল সমাজকর্মী ও ক্রীড়া-সংস্কৃতির গুণিব্যক্তিত্বদের আনুষ্ঠানিভাবে সম্মাননা দিয়ে উৎসাহিত করা হবে।
সুপ্রিয় কলমযোদ্ধারা
সাংবাদিকতার সুবাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে আমার বিশেষ সম্পর্ক আছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সীতাকুণ্ড পৌরসভার বিরাজমান নানান সমস্যার সমাধান এবং উজ্জ্বল সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভাকে একটি বিশ্বমানের পৌরসভায় রূপান্তর করা কঠিন কোনো কাজ নয় বলে আমি মনে করি। তাই, আমার স্বপ্নলালিত পৌরসভা বাস্তবায়নে আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আমি মেয়রপ্রার্থী হতে মনস্থির করেছি। কেননা, সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বৃহত্তর পরিসরে জনকল্যাণে অবদান রাখা যায় না।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এ পৌরসভার সাবেক দুই মেয়র নায়েক (অব.) সফিউল আলম, আবুল কালাম আজাদ ও বর্তমান মেয়র বদিউল আলম তিনজনই দেশমাতৃকার সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি বয়সের কারণে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সৌভাগ্য না হলেও আমার প্রয়াত বাবা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগপাগল বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মুক্তিসংগ্রামে বিশাল অবদান রাখেন। তাই মুক্তিযোদ্ধা বাবার একজন গর্বিতসন্তান ও সাবেক ত্যাগী ছাত্রলীগনেতা হিসেবে আমিও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে কোনোকিছু আশা করতেই পারি।
পরিশেষে সহকর্মী সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া দেশের চারমেয়াদের সফল প্রধানমন্ত্রী ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন,আমাকে যদি তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেন এবং সীতাকুণ্ড পৌরসভার ভোটারসাধারণ আমাকে মেয়র নির্বাচন করেন, তাহলে পৌরবাসীর সামগ্রিক কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত ও উৎসর্গ করবো।