নিজস্ব প্রতিবেদক,১জুন(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুন্ড পৌরসদরের মহাদেবপুর পুকুর প্রকাশ লাল দিঘী থেকে একটি প্রভাবশালী মহল সন্ত্রাসী দিয়ে ৫০ লাখ টাকার মাছ লুটের অপচেষ্টা করছে। গত দেড় বছর যাবত তারা দিঘীর ইজারাদার উপজেলার পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামকে তার লিজকৃত দিঘী থেকে মাছ ধরতে দিচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে ভুক্তভোগি তাজুল ইসলাম থানায় ৪ দফা অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। রবিবার বেলা ১১টায় সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন লাল দিঘীর ইজারাদার তাজুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সীতাকু- সবজি ভান্ডারের মালিক সুনীল চন্দ্র দাস, পৌরসভার কাউন্সিলর একে এম সামছুল আলম আজাদ, ব্যবসায়ী গুলজার হোসেন ও জয়নাল নামক ৪ ব্যক্তি লাল দিঘীর ইজারায় তাজুলের পার্টনার হবার জন্য বিভিন্ন সময়ে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। কিন্তু তাজুল তাদেরকে পার্টনার না নেওয়ায় তারা চরম ক্ষিপ্ত হন। এরপর তারা একটি ভুয়া চুক্তি নামা প্রকাশ করে নিজেদের তাজুলের পার্টনার হিসেবে প্রচার করে। এ ঘটনা শোনার পর চুক্তিনামাটি ভুয়া দাবী করে তাজুল ইসলাম থানায় অভিযোগ এবং আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে গত ১৫.০৫.১৪ইং তারিখে জেলা পরিষদ টেন্ডার আহ্বান করলে তাতে সুনীল চন্দ্র দাস সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। এরপর জেলা পরিষদ তাজুল ইসলামকে পুকুরটি খালি করে দেবার নির্দেশ দেন। এদিকে নির্দেশ অনুযায়ী ঐ দিঘী থেকে নিজের মাছ ধরতে গেলে উপরিউক্ত ব্যক্তিরা বারবার সন্ত্রাসী নিয়ে তাজুলকে মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছে। তাই তাজুল সুনীলের এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রশয় না দিয়ে জেলা পরিষদের কাছে পুনরায় দিঘীটি তার নামে দেওয়ার আবেদন জানান। এ বিষয়টি তাজুল ইসলাম স্থানীয় এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহীত করলেও কোন ফল হয়নি। তাজুল অভিযোগ করে জানান, ঐ পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রকারের অন্তত ৫০ লাখ টাকা মূল্যের মাছ রয়েছে। তিনি মাছগুলি না ধরা পর্যন্ত পুকুরটি বুঝিয়ে দিতে পারছেন না। তাই তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ মনোয়ার ইসলাম মুন্না,মোঃ বোরহান, জুলফিকারসহ স্থানীয় এলাকাবাসিদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন ।
Home / উপজেলা সংবাদ / সীতাকুন্ডে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ঃ লালদিঘী থেকে মাছ ধরতে ইজারাদারকে বাধা