এম মাঈন উদ্দিন,মিরসরাই, ১০ অক্টোবর (সীতাকুণ্ড টাইমস):
মিরসরাইয়ে ইব্রাহীম খলিল (১২) নামে কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্র অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করে বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার। গত ৫ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটলেও ওই ছাত্রকে শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি করায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী শাহ আলম জানান, গত ৫ অক্টোবর হাবিলদারবাসা রশিদিয়া কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ইব্রাহীম খলিল মাদ্রাসার তরকারি রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে অগ্নিদগ্ধ হন। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে ছাত্রটির গায়ে কাঁচা ডিম লাগিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসায় বন্ধি করে রাখে। পরে শনিবার সকালে ছাত্রটি কৌশলে ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়চাঁদপুরে তার মামার বাড়িতে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার মামা-মামি ও এলাকাবাসীকে জানালে তারা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
ওই ছাত্রের মা বিবি আয়েশা কান্নাাজড়িত কন্ঠে জানান, তাদের বাড়ি লক্ষিপুর উপজেলার পুকুরদিয়া গ্রামে। তিনি তার ভাইয়ের কাছে ছেলে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর শুনে ছাগলনাইয়ায় ছুটে আসেন। এসে দেখেন তার ছেলের সারা শরীর পুড়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রসারার রান্নাবান্নাসহ বিভিন্ন কাজ আদায় করতো। তিনি এমন নির্মম ঘটনার বিচার চান।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদীতা ঘোষ জানান, ছাত্রটির শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় কিছুটা ইনফেকশন হয়েছে।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে হাবিলদার বাসা রশিদিয়া কওমি মাদ্রসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।