কাইয়ুম চৌধুরী,৩নভেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে এ যাবত প্রায় আড়াইশটি মামলায় আসামির সংখ্যা আনুমানিক দশ হাজার। পুলিশ উল্লিখিত মামলার আসামি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে প্রতি রাতেই সাড়াশী অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে গ্রেফতার এড়াতে নেতাকর্মীরা প্রতিটি রাস্তার মাথায় অথবা মোড়ে পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আন্দোলন অথবা বিভিন্ন ঘটনায় এ যাবৎ প্রায় আড়াইশত মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। প্রতিদিনই কয়েকশত নেতা-কর্মীকে কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। অতি সম্প্রতি দেখা গেছে একদিনে ৪/৫টি মামলা পর্যন্ত হয়েছে। মামলার সংখ্যা জনপ্রতি ১৫/২০টি হয়ে যাওয়ায় অনেক নেতাকর্মী জামিন নেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ জামিন পেলেও সবকয়টি মামলার হাজিরা ঠিক রাখতে হলে যত দিন কোর্ট খোলা থাকবে ততদিন তাদেরকে কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। তাই নতুন করে জামিন নেয়া বন্ধ রেখেছে অনেকে। এদিকে থানায় আসামির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ চিরুনী অভিযানে নেমেছে। এদিকে নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে সীতাকুণ্ডের প্রায় দুইশতাধিক রাস্তার মাথায় কর্মী পাহারা বসিয়েছে। পুলিশের বহর গলিতে নামলেই খবর পৌঁছে যায় নেতাদের বাড়িতে। সূত্রে আরো জানা যায়, অনেক স্থানে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। হঠাৎ পুলিশের সামনে পড়ে গেলে এই অস্ত্র ব্যবহার হতে পরে গ্রেফতার ঠেকাতে। প্রতি রাতে সীতাকুণ্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নিরাপদ স্থানে। আর সোর্স হিসাবে পাহারা দিচ্ছে আড়াইশত কর্মী। সঙ্গে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পালিয়ে বেড়ানো নেতাকর্মীরা জানায়, গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। রাতে ঘুমাতে পারি না। দিনে বাড়ি থাকতে পারি না। ঘটনায় থাকলেও পুলিশ আসামি করছে, না থাকলেও আসামি করছে।