তালুকদার নির্দেশ বড়ুয়া,২৭সেপ্টেম্বর (সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)-
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড এসকেএম জুট মিলস এলাকার পূর্ব পার্শ্বে লোকালয়ের নিকটে পাহাড়ের পাদদেশে একটি চক্র বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পঁচা গলিত বর্জ্য ট্রাকে করে এনে দীর্ঘদিন থেকে রোদে শুকানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় মাছের বর্জ্য শুকানোর কারণে দিনের আলো শেষে সন্ধ্যা নামলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিরাজ ভূঁইয়ার রাস্তার মাথা থেকে বাড়বকু- বাজার পর্যন্ত দুই কিঃ মিঃ এলাকা দূর্গন্ধময় হয়ে ওঠে। রাত বাড়ার সাথে সাথে গন্ধের মাত্রাও বাড়ে তত বেশি। রহমতনগর, সন্দ্বীপি পাড়া, হাতিলোটা, এসকেএম আলী চৌধুরী পাড়া, ইয়াছিনগর, ভায়েরখীল, দাড়ালিয়া পাড়া, মান্দারীটোলাসহ ৯টি গ্রামের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন রাত গভীরতা সাথে এইসবকটি গ্রামে ঐ উদ্ভট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে গ্রামগুলোর অধিবাসীরা দিনের পর দিন ক্ষোভে ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে। আলী চৌধুরী পাড়ার জনসাধারনের অভিযোগের ভিত্তিতে বশর চৌধুরীর মালিকানাধীন পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে দেখা যায়, সমতলের বিভিন্নস্থানে ২/৩টি ট্রাকে করে চিংড়ি ও সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছের পঁচা গলিত অংশ এনে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। যেখানে দূর্গন্ধের কারণে পোকামাকড় ও মশা-মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। সেখানে দাড়িয়ে থাকাও দুরহ হয়ে পড়ে। ৩/৪জন শ্রমিক মুখোশ পড়ে স্তপগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে রোদে শুকাচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলেও কোন পরিচয় বা জবাব পাওয়া যায়নি। আবার শুকানো হলে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে এসব কাজের তদারককারী রহমতনগর গ্রামের অধিবাসী জামাল উদ্দিনের নিকট এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জানান, মূলত এসবের মালিক বাঁশখালী উপজেলার মোঃ আলী হোসেন। তিনি বশর চৌধুরী ও তার পুত্র রফিক চৌধুরীর নিকট থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়ার চুক্তিতে এই জায়গাটি ভাড়া নেয়। সেই মোতাবেক এখানে এই কার্যক্রম চলছে। এছাড়া এখানে মাছের এই বর্জ্য গুলো শুকানোর পর আলী হোসেন ট্রাকে করে আবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মুরগী ও মাছের খাদ্যের খারখানায় নিয়ে বিক্রি করে থাকে। জায়গাটির মালিক রফিক চৌধুরী এব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে বলে, আমরা জায়গাটি ভাড়া দিয়েছি একথা সত্য কিন্তু এখানে আমরা কোন গন্ধ পাই না। কারণ আমরা শহরে থাকি। এতে এলাকাবাসীর ক্ষতি হবে বলে আমরা মনে করি না। উক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রফিক চৌধুরী ও বশর চৌধুরী কখনো অবৈধভাবে পাহাড় কাটে আবার পরিবেশ বিপর্যয়ের মত কাজে হাত দিতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনা। টাকাই তাদের সব কিছু। স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে বাপ-ছেলে দুজনই বিদেশ থেকে ফেরত আসে। বর্তমানে তারা দুজনই বেকার কোন কাজ কর্ম করে না। আর শাহেন শাহ্র মত চলার জন্য তারা এসব কর্মে লিপ্ত। এদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। উল্লেখ্য যে, বিষয়টি সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরানকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এব্যাপারে স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে আমি অভিযানের ব্যবস্থা করব যদি কেউ অভিযোগ করে। অভিযোগ না করলেও অভিযান চালিয়ে এই কার্যক্রম বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহন করব। এলাকাটির ২০ হাজার জনগন মনে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচতে দ্রুত এই কার্যক্রম বন্ধ হওয়া জরুরী।
Home / উপজেলা সংবাদ / বাড়বকুন্ডে লোকালয়ে চলছে মাছের বর্জ্য শুকানো কার্যক্রম দুর্গন্ধে থাকতে পাচ্ছেনা মানুষ ,ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন