এল.কে চৌধুরী, ২৪ডিসেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস) ঃ
প্রথমবারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনেকটা জাতীয় নির্বাচনে রূপ নিয়েছে।পৌষের শীতল হাওয়া উপেক্ষা করে জমজমাট প্রচালনা চলছে সীতাকু- পৌর এলাকায়। উৎসবমুখর পরিবেশে চারিদিকে সাজ সাজ রব। এরি ফাঁকে বেরসিক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে থমকে দিতে চাই এ পরিবেশকে।
সীতাকু- পৌরসভায় আ.লীগের প্রার্থী বদিউল আলম গভীররাত পযর্ন্ত মেয়র হওয়ার স্বপ্নে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌরবাসীর ভোটে বিজয়ী হলে আধুনিক পৌরশহর গড়াই হবে পৌর মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলমের আমার প্রথম কাজ।
তিনি বলেন, জলবদ্ধতা নিরসন, মুক্তিযোদ্ধের গৌরবগাঁথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা, পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়াসহ বিগত দিনের প্রতিশ্রুতির মাঝে থমকে থাকা কাজের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবে।
আ.লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বদিউল আলম দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি পৌর আ.লীগের পরপর চার মেয়াদে প্রায় ২৫বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় উপজেলা আ.লীগে কোষাধ্যক্ষ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সীতাকু- উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তিন মেয়াদে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৮সালে তৎকালীন সীতাকু- ৩নং ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য পদে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ৩নং ইউনিয়ন পৌরসভায় উন্নীত হলে তিনি দুই মেয়াদে কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে সহকারী কমান্ডার হিসাবে সীতাকুন্ড ও মীরসরাই এলাকার বিভিন্ন রণাঙ্গনে জীবনবাজী রেখে যুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজ অস্ত্র সরাসরি থানায় জমা দিয়ে পড়া লেখায় মনোনিবেশ করেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী বদিউল আলম।
পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে কেন প্রার্থী হয়েছেন এ প্রসঙ্গে বদিউল আলম বলেন, বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচন একটি দলীয় নির্বাচন। আমি সীতাকুন্ড পৌর আঃ লীগের দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। সীতাকুন্ড পৌরসভার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। সুযোগ এসেছে এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার। আমার সবদিক বিবেচনা করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এলাকার মানুষদের নাগরিক সেবা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া এবং পৌরবাসীর সেবা করার ব্রত নিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছি।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে অসংখ্য ভাঙ্গা রাস্তা, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে আধুনিক পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, সন্ত্রাস এবং মাদকমুক্ত পৌরসভা গড়ে তুলব। এছাড়া প্রতিবছর তীর্থ দর্শন এবং সীতাকুন্ড পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য লাখ লাখ পর্যটক এখানে সমবেত হন। তাই তীর্থস্থানের উন্নয়ন এবং সীতাকুন্ডকে পর্যটনবান্ধব পৌর শহর গড়তে কাজ করে যাব।
জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় আমি তৃণমূল মানুষের সুখ-দুঃখ আনন্দ বেদনার সাথী হিসেবে তাদের পাশে থেকে অকুণ্ঠ ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেখেছি ভোটাররা আন্তরিকতার সহিত আমাকে বরণ করে নিচ্ছেন, ব্যক্ত করছেন তাদের প্রত্যাশা। ভোটারদের আবেগ, উচ্ছাস, আন্তরিকতা দেখে মনে হচ্ছে জয়ের ব্যাপারে ইনশাল্লাহ আমি শতভাগ আশাবাদী।