সংবাদ শিরোনাম
Home / গ্রাম-গঞ্জ / সীতাকুণ্ড কদমরসুল এলাকায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সংঘর্ষঃ কলেজ ছাত্রসহ ৩৭জন আটক

সীতাকুণ্ড কদমরসুল এলাকায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সংঘর্ষঃ কলেজ ছাত্রসহ ৩৭জন আটক

IMG_20171026_220742

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ািরী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় জোরপূর্বক বাড়ীর সীমানা দেয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০/১২ জন নারী পুরুষ আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কদম রসূল বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে আব্দুল হক কোম্পানীর বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় বাড়ীঘর ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ ৩৭ জনকে আটক করেছে। জব্দ করেছে সন্ত্রাসী বহনকারী একটি মিনি বাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কদমরসুল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হারুণের সাথে একই এলাকার প্রতিবেশী আব্দুল হক কোম্পানীর ছেলে আবু আমিনের সাথে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে একাধিকাবার শালীশ বিচার হয়েছে। বিরোধপূর্ণ এ জায়গায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবু আমিনরা জোরপূর্বক সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে পূর্ব থেকে আবু আমিন তার দুই ভাই আবু তাহের ও জসিমের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক ভাড়াকরা সন্ত্রাসী দা, চুরি কিরিচ লাঠি বল্লম নিয়ে পুরো এলাকায় নিরিহ লোকজনের উপর হামলা বাড়ীঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়।

জানা গেছে আবু আমি গ্রুপ পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এক মিনিবাস ভর্তি করে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে যায় নগরীর কর্ণেল হাট এলাকা থেকে। সকাল ৯টা থেকে সন্ত্রাসী একঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালায়। তাদের হামলায় হারুণ গ্রুপের নুরজাহান বেগম, নুর বানু, মাসুদা আক্তার, নুর খাতুন, মেহেরুন, রোহান, পারভীন আক্তার, নুর মিয়া ও আরবান আলীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়।

তাৎক্ষনিকভাবে খবর পেয়ে প্রথমে সীতাকুণ্ডের টহল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশে উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে আবু আমিনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয় এসময় সীতাকুণ্ড থানা থেকে এসআই জাহেদ ও জসিমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তল্লাশী চালিয়ে ৩৭ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের আটক করে নিয়ে যায়।

এদিকে সন্ত্রাসীদের আটকের পর বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ত্রাসীদের বহনকারী মিনিবাসটি ভাঙচুর করেছে।

জানাগেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সীতাকুণ্ড থানায় উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ রফার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ধরে েনিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে হামলাকারী আবু আমিন বলেন,‘হারুন আগে থেকে আমরা কিছু জায়গা দখল করে রাখছিল,সকালে আমি আমার জায়গার উপর দেয়াল তুলতে গেলে বাঁধা পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা এখন থানায়।

অপরদিকে হারুন বলেন,‘আমার বসতভিড়াই আমি অনেক বছর ধরে দখলে আছি,‘আজ হঠাৎ করে আব আমিন কলেজ ছাত্রসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলা আমার ৪ বছরের শিশু গুরুতর আহত হয়। আমি এখন থানায় আছি,আমি মামলা করবো।’

ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, সকালে জায়গা নিয়ে বিরোধ বাঁধে উভয় পক্ষের সাথে, তবে এই সমস্যা নিয়ে উভয় পক্ষের কেউ আমার পরিষদে আসেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি শুরু হয় এবং একই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়। আমরাও থানায় আসছি দেখি নিস্পত্তি করা যায় কিনা।

সীতাকুণ্ড থানার কর্তব্যরত এএস আই তাজুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে জড়িত উভয়পক্ষ থানায় আছেন যাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া দেয়া হবে। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *