সংবাদ শিরোনাম
Home / প্রথম পাতা / সীতাকুণ্ড কদমরসুল এলাকায় ৩০ কোটি টাকার সরকারি জায়গা উদ্ধার

সীতাকুণ্ড কদমরসুল এলাকায় ৩০ কোটি টাকার সরকারি জায়গা উদ্ধার

সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্ক ঃ
সীতাকুণ্ডে দীর্ঘদিন সরকারী জায়গা দখল করে রাজত্ব করছিল এক ছাত্রলীগ নেতা । রাজত্ব আরও বৃদ্ধি করতে পুকুর ভরাটের কাজ শেষ করে। প্রায় ২ একর জায়গা দখলে নিয়ে ঐ ছাত্রলীগনেতা ট্রাক ইয়ার্ড ও মার্কেট নির্মাণের স্বপ্ন দেখে । সংগ্রামসহ জাতীয় অনেক পত্রিকায় পুকুর ভরাটসহ তার জায়গা দখলের নিউজও প্রকাশিত হয়। অবশেষে উপজেলা প্রশাসন তার দখলকৃত জায়গাটি উদ্ধার করে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান উদ্ধারকৃত জায়গাটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের কদমরসুল সালেহ কার্পেট জুট মিললস্ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে সরকারি খাস জায়গা দুই একর পুকুর দখল করে নেওয়া ঐ ছাত্রলীগ নেতার নাম রমজান আলী। দখল পরবর্তী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে মহাসড়কের পাশে দিন রাত পুকুর ভরাট কাজ অব্যাহত রাখছিল। এর পর বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় ছবিসহ নিউজ প্রকাশিত হয়। পরে সড়ক ও জনপদ অদৃশ্য কারণে একটি নোটিশ করে তাদের কর্তব্য শেষ করেন। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েন এই ছাত্রলীগ নেতা। এসকেভটর ও ডুজার দিয়ে তাড়াহুড়ো করে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মান ও কিছু অংশে ট্রাক টার্মিনাল গড়ে তুলেন। বিষয়টি সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল সকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মোঃ শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে আরো উপস্থতি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দনি, ইউপি সদস্য আবদুর শুক্কুরসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের র্কমর্কতাবৃন্দ। ছাত্রলীগ নেতার দখলে থাকা উদ্ধার হওয়া সরকারি জায়গার আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা বলে জানান উপজলো প্রশাসন।
জানা যায়, উপজলোর ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কদমরসুল জাহানাবাদ এলাকায় মুন্সী মিয়ার পুত্র এবং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী কদমরসুল এলাকায় মহাসড়করে পাশে প্রায় দুই একর সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা(পুকুর) দখল করে মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মাণ করেন । ভরাট করার সময় সে শতাধিক বহু বছরের পুরনো সরকারি বড় বড় গাছ কেটে পেলে দখল নিয়ন্ত্রনে আনে। কিছু কিছু অংশ মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মাণ করে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রিম নেন এবং মাসিক হাজার হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছেন। বিষয়টি অনেকদিন পরে হলেও উপজেলা প্রশাসনে দৃষ্টিগোচর হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের স্বীদান্ত গৃহীত হয়। গেন মোতাবেক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়ে দখলকৃত জায়গা পূর্বের রকম নিয়ে আসতে পুকুর খনন শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন,“রমজান আলী নামে এক সরকারি জমি দখলকারি যুবক র্দীঘদনি ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুই একর জায়গা দখল করেছে। জায়গার আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। সরকারি জায়গাটিতে পুকুর ছিল,সে পুকুর ভরাট করে ঐ স্থানে মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলে। দখল করার সময় সরকারি মূল্যাবান গাছও সে কেটে পেলে। আমরা অভিযানে পুরো জায়গাটি দখলে নিয়ে আসছি এবং দখলকারিকে সর্ব্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের সকল মালামাল ও স্থাপনা নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছি। উচ্ছেদ পরবর্তী আমরা পূর্বের ন্যায় জায়গাটি পুকুর খনন করে দিব। এরপর পুরো জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *