কৃষ্ণ চন্দ্র দাস,১০নভেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর দুই বছর পার হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি সীতাকুণ্ডের প্রায় ২৩ হাজার নুতন ভোটার। পরিচয়পত্রের জন্য থানা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কেবল আশ্বাসই পাচ্ছেন তাঁরা। তবে পরিচয়পত্র না পেলেও নতুন ভোটাররা আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় নতুন ২২ হাজার ৯০৮ জন ভোটারের পরিচয়পত্র এখনো নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়নি। তবে পরিচয়পত্রের কারণে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে কোনো অসুবিধা হবে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, এ বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর সীতাকুণ্ডের নতুন ভোটার বেড়েছে ২২ হাজার ৭০৮ জন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত আরও ২০০ জন নতুন ভোটার হয়েছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫১ জন।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নতুন ভোটার পরিচয়পত্রের খোঁজে এসেছেন। তাঁরা জানান, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার এসেও পরিচয়পত্র পাননি।
কুমিরার সুলতানা মন্দির এলাকার বিদুর দাস বলেন, ‘এ বছর নতুন ভোটার হয়ে ভালো লাগছে। তবে এখনো পরিচয়পত্র পাইনি। যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচনের আগে পরিচয়পত্র পাব কি না, জানি না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনে অদক্ষ ও দলীয় কর্মীকে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সে কারণে এত দিন পরও ভোটার আইডি কার্ড পায়নি নতুন ভোটাররা।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন বলেন, ‘একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে আমি জানি ভোটার আইডির গুরুত্ব কতখানি। তবে যারা নতুন ভোটার হয়েছে তাদের ভোট দিতে কোন সমস্যা হবে না। কারণ, ভোটার তালিকায় তাদের নাম আছে।’ তার পরও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দাবি রেখেছেন যত দ্রুত সম্ভব নতুন ভোটাররা যেন পরিচয়পত্র পেয়ে যায়।