সীতাকুণ্ড টাইমস ডেস্কঃ
সীতাকুণ্ড কুমিরা পিএইচপিতে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকরা আজ কাজে যোগ না দিয়ে কারখানাটির গেইটে সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছে।
সীতাকুণ্ডে কুমিরা এলাকায় পিএইচপি গ্রুপের ঢেউটিন তৈরির কারখানায় কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকেরা পাঁচ ঘণ্টা পর কাজে ফিরেছেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানা প্রশাসনের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা কাজে ফিরে যান।
আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শ্রমিকেরা। তাঁরা তাৎক্ষণিক সমাধান চেয়ে কারখানা ফটকে অবস্থান নেন।
খবর পেয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে ছুটে যান। থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা কারখানা এলাকায় অবস্থান নেন।
কারখানাটিতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১ হাজার ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন বলে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে।
শ্রমিকেরা জানান, অনেক শ্রমিকের চাকরির বয়স ১০ বছর হলেও বেতন খুবই কম। তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে চার হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি, নতুন শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৭ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ, যাতায়াত-সুবিধা দেওয়া, অন্যায়ভাবে ছাঁটাই বন্ধ করা।
কামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেনচালক বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে কারখানায় কাজ করছেন। বেতন পান ৮ হাজার টাকা। কিন্তু অন্য কারখানায় এ পদে বেতন অনেক বেশি। বেতন বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক বলে তিনি জানান।
শ্রমিকদের আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। তা আবার সমাধানও হয়ে গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন জানান, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানা প্রশাসনের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রতিনিধি নিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কারখানা প্রশাসন এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আশরাফ ভুইয়ে লিখেছে
PHP মানে আমি যতটুকু জানি Peace,Happiness and Prosperity। সম্প্রতি জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে পিএইচপি গ্রুপ, এছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রায় ইসলামিক প্রোগ্রামের পৃষ্ঠপোষকতা করে পিএইচপি গ্রুপ,ভালো। কিন্তু পিএইচপি শ্রমিকদের জন্যে সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরীর আইন অমান্য করে,ওরা রীতিমতো শ্রমিক শোষণ করছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে তা সুফী মিজান সাহেবরা ভালোই জানার কথা। PHP কর্তৃপক্ষের উচিত হবে অন্যান্য ষ্ঠীল মিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্টাফদের ভরণপোষণের দিকে খেয়াল রেখে বেতন কাঠামো নির্ধারন করা এবং ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি করা। নাহয় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ আরো বেশী বাড়বে এবং কোম্পানীর গুড উইল নষ্ট হবে।
এক শ্রমিক জানায়
গত বছর কোন শ্রমিকের বেতন বাড়ে নাই, আবার এই বছর বাড়িয়েছে ১৭৫ টাকা, ২৫০ টাকা, ৩৫০ টাকা,,,৪/৫ বছর যারা চাকরি করেছে তাদের ১৭৫ টাকা বেতন বাড়ছে এবং মালিক পক্ষ বলছে না পোষালে চলে যেতে,,,এটা কেমন শোষণ?