মামুনুর রশীদ,সীতাকুণ্ড টাইমসঃ
ত্রাণের দাবিতে সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারীতে কয়েকটি অস্থায়ী বাসিন্ধা প্রায় এক শত নিম্ন আয়ের মানুষ এ মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হাছনাবাদ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন অস্থায়ী বাসিন্ধারা। এ সময় মহাসড়কের দু’পাশে পণ্যবাহী গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হাছনাবাদ এলাকায় অবস্থান নেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
মোহাম্মদ সোহাগ নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এখানকার অস্থায়ী বাসিন্দা। হাছনাবাদ গ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় আমরা বাস করি। আমরা এখানকার স্থায়ী না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার সাহায্য পাচ্ছি না।
আমরা চরম আর্থিক সংকটে আছি, বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি।
ভাটিয়ারী ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমার উক্ত ওয়ার্ডে প্রায় ১৩ হাজার লোকের বাসিন্দা, এত বড় ওয়ার্ড কোথাও নেই।
আমি পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত যে ত্রাণ পাই তা অতি সামান্য, তাছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে অনেক পরিবারকে ত্রাণ সাহায্য দিয়েছি।ওই এলাকার লোকজনের ভোটার আইডি কার্ড নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকলকেই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।”
এ ব্যাপারে ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘
এ ওয়ার্ডটি অনেক বড়, এখানে বহু অন্য জেলার লোকজন বাস করে, পরিষদ ও সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার মানুষের বাস এ ওয়ার্ডে সবাইকে একসাথে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হয়না, পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’ সরকারি ঘোষণা ছিল, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ কারণে সবাই ত্রাণ চায়। আমরা পর্যায়ক্রমে সকলকেই ত্রাণ পৌঁছে দেব।”
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কিছু বাসা বাড়ীর মালিকের ইন্ধনে কয়েকটি অস্থায়ী বাসিন্ধারা মহাসড়ক অবরোধে অংশ নেয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, জনসংখ্যা অনুযায়ী ত্রাণ অপ্রতুল, তবুও আমরা চেষ্টা করছি সবার কাছে ত্রাণ পৌছাঁতে।