মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড টাইমস ঃঃ সীতাকুণ্ডে এক করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর এলাকায় নতুন করে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। সনাক্ত করোনা রোগী ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে ৩দিন আগে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ভাড়া বাসায় উঠে। পরে সীতাকুণ্ড হাসপাতালে সে করোনা টেস্ট করতে নমুনা দিলে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি হাসপাতালে ্ তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে ।
খবরটি প্রশাসনের নজরে আসার সাথে সাথে বুধবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় প্রশাসন সীতাকুণ্ড পৌরসদরের গোডাউন রোডের ৮টি বাড়ি ও ৫টি দোকান লকডাউন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মিল্টন রায়,ওসি ফিরোজ মোল্লা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাসেদ।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর নাম আনোয়ার হোসেন (৫২)। তার বাড়ি সন্দ্বিপে। সে সীতাকুণ্ড পৌরসদর ৩ নং ওয়ার্ড এর সোবাহানবাগস্থ গোডাউন রোডে হুমায়ুন কবির এর বাসার ২য় তলায় তার ২ ছেলে ২ মেয়ে স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকত। তবে নারায়নগঞ্জ থেকে আসার পর সে বাড়ির ৩ তলায় খালি একটা বাসায় থাকা শুরু করে। বুধবার রাতে এখবর ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসীর নিকট আতংক দেখা দেয়। সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র বদিউল আলম জানায় করোনায় আতংক না হয়ে পৌরবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং কোন প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য লাগলে মোবাইলে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি ।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় জানান সীতাকুণ্ডে এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর ৮টি ভাড়ি ও ৪টি দোকান লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীকে রাতেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর সামছুদ্দিন আজাদ জানান লকডাউন এর পর এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। লকডাউন বাড়িগুলো থেকে কেউ বেরহতে পারবেনা। কোন কিছুর প্রয়োজন হলে মোবাইলে আমাদের জানালে আমরা প্রশাসনের সহযোগীতাই পৌঁছে দিব।
লকডাউন বাড়িগুলো হল কবির মনজিল, সাকিব মনজিল, আলসাফা বিল্ডিং জামান ইন্টারন্যাশনাল বাড়ি,টুটুল এর বাড়ি,রহিম বক্স বাড়ি,কাদের বিল্ডিং, পাশ্ববর্তী কলোনী সহ পশের ৫টি দোকান।