আব্দুল্লাহ আল ফারুক,৫আগষ্ট(সীতাকুন্ড টাইমস ডটকম)- ঃ
সীতাকু-ে এক গৃহবধুকে গণধর্ষন ও সহযোগিতা করার অভিযোগে বাড়বকু- ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহসহ ৫জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-২ চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে। মামলায় মো. আজম (প্রকাশ-ভুট্টু), দেলোয়ার হোসেন, ছালাউদ্দীন ও হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। জানা যায়, বাড়বকু- ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী-দুই সন্তানের জননী নাছিমা আক্তার বাদি হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-২ (মামল নাম্বার-৫৯৭/১৪) ও পরে এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সীতাকু- মডেল থানা মামলা (নাম্বার-০২/১৪ইং) রুজু করে। মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৪ জুন বাড়বকু- ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দাড়ালিয়া পাড়ার মৃত জালাল আহম্মদের পুত্র মো. আজম (প্রকাশ) ভুট্টু, একই এলাকার দোলোয়ার হোসেন দেলু, ছালাউদ্দীন ও হারুনুর রশিদ রাত আনুমানিক ২টার সময় পালাক্রমে গৃহবধুকে গণধর্ষন করে। ঐ সময় অপর ধর্ষকরা পালিয়ে গেলেও ১নং আসামী ভুট্টুকে গ্রামের লোকজন হাতেনাতে ধরে স্থানীয় মেম্বারগণের সহযোগিতায় সীতাকু- থানার এসআই রাশেদের কাছে সোর্পদ করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে বলে ধর্ষিতা ও ধর্ষককে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এনিয়ে দফায় দফায় ইউপি কার্যালয়ে বৈঠক হলেও বিনা বিচারে গণধর্ষনকারীদের ছেড়ে দেয় চেয়ারম্যান। ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে চেয়ারম্যানকে ৪নং আসামী করা হয়।
গৃহবধু নাছিমা আক্তার অভিযোগ করেন, অপরাধীদের বিচার না করে ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ উল্টো তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর নেয় এবং হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ জানান, তিনি এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। কিছু স্বার্থেনেষী মহল তাকে ফাঁসানোর জন্য গৃবধুকে দিয়ে এই মামলা রুজু করে।
সীতাকু- মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার হওয়ায় থানায়ও মামলা হয়েছে।’ তবে বিষয়টি পুনঃ তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।