এম,ইব্রাহিম খলিল,১১ডিসেম্বর(সীতাকুন্ড টাইমস):
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমনে একটি পা হারিয়ে ৪৩বছর জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে সাহায্যের আশায় ঘুরছে বিভিন্ন সরকারী মন্ত্রনালয়ে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে এসে মতবিনিময় করেন পঙ্গু বিধাব রোকেয়া বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবেরস সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী,সেক্রেটারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিএসসিসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। রোকেয়া জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে এখন সাহায্যের আশ্রয় নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানান।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিযনের মাদামবিবির হাটেরি জাহানাবাদ গ্রামের মরহুম নুর আহম্মদের ছোট মেয়ে রোকেয়া বেগম ৭ বছর বয়সে পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাম পা অর্ধেক অংশ উড়ে যায় সে পা হারান এবং ডান পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫মাস পর চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে। সে ফিরার তিন মাস পর তার পিতা নুর আহম্মদ মারা যায় । সে দিন থেকে ৪৩ বছর যুদ্ধ করে ও আজ পর্যন্ত সে সরকারী সাহায্য পায়নি। বিভিন্ন জায়গায় আবেদন নিবেদন করেছে মানুষের সাহায্যের টাকা না খেযে খরচ করেছে কোন ফল পায়নি আজ সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে এসে ৪৩ বছর আগের ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বরের মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বর্ণনা করেন । পাকিষÍানী হানাদার বাহিনীর ভয়ে পিতা ,মাতা, ভাই ,বোন ,এলাকার মানুষের সাথে জীবন রক্ষার্থে পাহাড়ের দিকে পালানোর সময় স্থানীয় হামিদুর রহমান মুন্সির বাড়ির সামনে এলে পাকিস্তানী বাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে রোকেয়া পা হারায় । পঙ্গু রোকেয়াকে সিলেটের আবদুস সামাদ নামের এক ব্যক্তি বিয়ে করে তার সংসারে কোহিনুর ও সাবিনা জন্ম হয় । আজ থেকে ১০ বছর আগে রোকেয়ার স্বামীর মৃত্যু হলে রোকেয়ার জীবনে নেমে আশে অমবশ্যার অন্ধকার ইতি মধ্যে রোকেয়ার মেয়ের জামাই, সাবিনার স্বামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয় । বিধবা মেয়ে ও তার দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে রোকেয়ার ঘাড়ে উঠে । এখন মানুষের সাহয্যে তার সংসার চলে । এলাকার সচেতন মানুষ অসহায় পঙ্গু রোকেয়ার ১৯৭১সালের ঘটনায় পঙ্গুত্ব হওয়ার সুবাদে সরকারের নিকট আবেদন করার পরার্মশে আবেদন নিবেদন করছে এবং সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরণ দেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে রোকেয়া বেগমের বাম পা উড়ে যায় এতে পঙ্গুত্ব বরণ করার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু: শাহীন ইমরান বলেন কিছু করার নাই মুক্তিযোদ্ধের তালিকায় নাম তুলতে হলে মুক্তিযোদ্ধা /যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সরকারের যাচাই বাচাই কমিটি আছে যচাই বাচাই কমিটি সুপারিশ পাঠাবে মন্ত্রণায়ে বলে জানান । উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলিম উল্লাহ জানান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক গণমানুষ আহত হয়েছেন নিহত হয়েছেন তারাত মুক্তিযোদ্ধের তালিকায় আসবে না।মুক্তিযুদ্ধা ছাড়া তালিকায় অন্তভুক্তি করা যাবে না তবে সরকার সাহায্য করতে পারে এবং যুদ্ধের সময় গণ হত্যা গণ আহতদের তালিকা করতে পারে সাহয্য দিতে পারে ।