সংবাদ শিরোনাম
Home / গ্রাম-গঞ্জ / সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসে নতুন রেকর্ডঃ ১০ মিনিটে খতিয়ান পেলেন কবির আহমেদ

সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসে নতুন রেকর্ডঃ ১০ মিনিটে খতিয়ান পেলেন কবির আহমেদ

FB_IMG_1499254235759
কামরুল ইসলাম দুলু, ৫ জুলাই ( সীতাকুণ্ড টাইমস.কম)
সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ২৪ বছরে না হওয়া খতিয়ান ১০ মিনিটে পেয়ে রীতিমত অবাক হয়ে গেলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার কোর্ট পাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবির আহমেদ। জানা যায়,তার নামে ১৭ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত হয়েছিল প্রায় দুই যুগ আগে ১৯৯৩ সালে। বন্দোবস্ত মামলা মূলে তার নামে খতিয়ান সৃজিত হয় ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে সেই জমির খতিয়ানের জন্য ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় কবির আহমদের। মাঝে দীর্ঘ ২৪ বছর কেটে গেলেও পাওয়া যায়নি  খতিয়ান। হয়রানী হতে হতে এক সময় খতিয়ানের আশাই ছেড়ে দেন কবির আহমদ। অবশেষে তিনি জানতে পারেন সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি অফিসের চেহারা পাল্টে যাওয়ার কথা। আশায় বুক বেধেঁ কবির আহমদ ছুটে যান বর্তমান সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন এর কাছে। আজ বুধবার (৫ জুলাই) সকালে ভূমি অফিসে গিয়ে বিস্তারিত কথা জানান তিনি সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর কাছে। কাগজপত্র যাচাই করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই কবির আহমদের হাতে খতিয়ান তুলে দেন রুহুল আমিন। এত অল্প সময়ে খতিয়ান হাতে পেয়ে তাজ্জব বনে যান কবির আহমদ। তিনি বলেন, এটাতো একটি অবিশ্বাস্য কাজ, দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে যেটার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম সেটা ১০ মিনিটে পেয়ে গেলাম। দারুণ খুশি মনে খতিয়ান নিয়ে যাওয়ার সময় কবির আহমদ একটি প্রতিক্রিয়াও লিখে যান । ‘ভূমি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে আমার প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক এই লেখাতে তিনি বলেন, ‘গত ২৪ বছরে ধরে আমার নামে ভূমি অফিস থেকে যে ১৭ শতক জায়গা দলিল মূলে অর্পণ করা হয়েছিল সেই খাস জমির খতিয়ান রুহুল আমিনের কল্যাণে মাত্র ১০ মিনিটে পেয়ে গেলাম । আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ অলীক ব্যাপার। ভূমি অফিসে সচরাচর যা দেখা যায় না তাই আজ আমি নিজ চোখে দেখলাম।’ তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় সহকারী কমিশনার রুহুল আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কবির আহমদ আরো বলেন, সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের মতো কাজ এবং রুহুল আমিন এর মতো মানুষ যদি সব ভূমি অফিসে থাকতো তাহলে দেশের চিত্র পাল্টাবে যেতো। এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ওনার (কবির আহমদ) কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে খতিয়ান তৈরি করে দিই। গত ২৪ বছর ধরে তিনি সেটি পাননি বলে জানান। আজ খতিয়ান পেয়ে আমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করলেন। একজন এসিল্যান্ডের এর চেয়ে বড় পাওনা আর
কি হতে পারে ? ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *